মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ থেকে আটক গাড়ি চোর সিন্ডিকেটের সদস্য ছাত্রলীগ নেতা উজ্জল পাঠানসহ দুই জনকে ঢাকায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিরপুর (গোয়েন্দা) বিভাগের একটি টিম তাদেরকে কাফরুল থানায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে প্রেরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমশিনার মোঃ আশরাফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ২১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাফরুল থানার বিআরটিএ অফিসের সামনে থেকে একটি প্রাইভেটকার চুরি হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে এ বিষয়ে মিরপুর বিভাগের (গোয়েন্দা) পুলিশ সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ী চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম মামলাটি তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে মঙ্গলবার মধ্য রাতে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা কৌশলে গাড়ি চুরি, গাড়ির ভূয়া কাগজপত্র তৈরি, প্রতারণা করে গাড়ি বিক্রি ও গাড়ি দ্বারা মাদক বহনের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি প্রাইভেটকার।
গ্রেফতারকৃতরা হল, মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত) হৃদয় পাঠান ওরফে উজ্বল পাঠান (২৯) ও রুবেল মিয়া (৩৭)।
এদিকে, হবিগঞ্জে অভিযানের পর থেকেই কৌশলে গা-ঢাকা দিয়েছে গাড়ি চোর সিন্ডিকেটের প্রধান তারেকুল ইসলাম অলি ওরফে ‘চশমা তারেক’। সে হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী এলাকার রহমান আলীর পুত্র। জানা যায়, ‘চশমা তারেক’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাতায় চোরাকারবারি হিসেবে তালিকাভূক্ত। হবিগঞ্জ শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় তার রয়েছে একটি চমশার দোকান। যে কারণে সে শহরে ‘চশমা তারেক’ নামে পরিচিত। মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিতে চশমা ব্যবসার আড়ালে সে গড়ে তুলেছে চোরাকারবারির বিশাল সিন্ডিকেট। দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তার একাধিক প্রশিক্ষিত গাড়ি চোর চক্র। এসব চক্রের মাধ্যমে গাড়ি চুরি ও বেচা-কেনা করে থাকে সে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের চোরাই পথে চা-পাতা, গাড়ির টায়ার ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন দ্রব্য অবৈধ ভাবে আমদানি-রপ্তানি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মামলা।