- Youtube
- English Version
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ পৌরসভার ভোটগ্রহণ আজ: কে হচ্ছেন নয়া নগর পিতা ?
- সংবাদ প্রকাশের সময়: রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
দিদার এলাহী সাজু:বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পপর্যন্ত একটানা ভোট গগ্রহন করা হবে। সব শেষেই সন্ধ্যার পরপরই নির্ধারণ হবে কে হচ্ছেন ‘নয়া নগর পিতা’। ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল শনিবার বিকেলের মধ্যেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে র্যাব-পুলিশ বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত আইন শৃংখলা বাহিনী। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে বন্ধ হয়েছে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন প্রার্থী। এরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম (নৌকা), হবিগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান মিজান (নারিকেল গাছ), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) মনোনীত জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক এডভোকেট এনামুল হক সেলিম (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (পীর সাহেব চরমোনাই) মনোনীত হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ব্যক্স) সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শামছুল হুদা (হাত পাঁখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ বশিরুল আলম কাওছার (মোবাইল ফোন) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট’র আইনজীবি গাজী পারভেজ হাসান (জগ)। এছাড়াও নির্বাচনে ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৯ ও ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৭ জনসহ ৫৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাধারণ ভোটারদের ধারণা, নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আলোচনায় আছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম (নৌকা), বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান মিজান (নারিকেল গাছ) ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট এনামুল হক সেলিম (ধানের শীষ)। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তাদের মধ্যেই।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম জানান, রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) একটানা চলবে ভোটগ্রহন। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ১শত ২০ সদস্যের ৬ প্লাটুন ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি), র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-এর ৪টি টিমসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য। এছাড়াও দায়িত্বে পালনে রয়েছেন একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, পৌর এলাকার ২৪টি ভোট কেন্দ্রে ৬শ ৬০ জন পুুলিশ সদস্য সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে থাকবে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র মহিলাসহ ৯ জন সদস্য। সূত্রমতে পৌর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কোন কেন্দ্র নেই। তবে প্রত্যেক প্রার্থীর নিজ কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এদিকে, হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং সুষ্ট-শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরীর লক্ষ্যে পৌর এলাকায় মোটর বাইক চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। ২৬ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে ১ মার্চ সোমবার ভোর ৬ টায় পর্যন্ত হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় সব ধরনের মোটর বাইক চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জেলা প্রশাসন কর্তৃক এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত ৯ দশমিক ০৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভায় বসবাস করেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। নির্বাচন কমিশনের দেয়া সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী ‘পায়জামা আকৃতির শহর’ নামে খ্যাত এ পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ৫০ হাজার ৯শ ৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ২৫ হাজার ৬শ ২০। এখানে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ১৯৪৭ সাল থেকে সংরক্ষিত পৌরসভার দাপ্তরিক তথ্যানুযায়ী এবার নির্বাচিত হবেন ‘৩২তম নগর পিতা।’
