বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
এম.মুসলিম চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল(মৌলভীবাজার): শ্রীমঙ্গলে অচেতন করে ৩টি পরিবারে দুঃসাহসী চুরি সংগঠিত হয়েছে। চুরচক্র পরিবার গুলোর লোকজনকে অচেতন করে জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে নগত টাকা, স্বর্ণলংকার সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পরিবারগুলোর ১৬ জন নারী-পুরুষ সদস্যকে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্ের ভর্তি করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ফ্রেব্রয়ারী) গভীর রাতে পৌর এলাকার শ্যামলী আবাসিক এলাকার মিলন মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া তিনটি পরিবারের মাঘে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণা করছে এটি একটি বড় অজ্ঞান চক্রের কাজ। ধারণা করা হচ্ছে চুরচক্র পবিবারের সদস্যদের খাবারের সাথে কিছু খাইয়ে ঘরের সবাইকে অচেতন করে চুরচক্র লুটপাট চালায়। এঘটনায় শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের সার্কেল এএসপি আশিকুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে শ্রীমঙ্গল ব্যাবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বিকেলের দিকে অচেতন থেকে জ্ঞান ফিরলে ব্যবসায়ী খালেদ আহমেদ জানান, তিনি রাত ১২ টার দিকে খাবারের পর ঘুমের ঘরে ঢলে পড়েন। ভোর চারটার দিকে তার কিছুটা জ্ঞান ফিরে এলে তিনি তার পরিবারের সদস্যরা এলোমেলো ভাবে পড়ে আছেন দেখে বুঝতে পারেন এটা অজ্ঞান পার্টির কাজ। তাই তিনি তার ফেসবুকে বিষয়টি জানিয়ে একটি ষ্ট্যাটাস ও একই সাথে ৯৯৯ ফোন দেন। ফোন দেওয়ার পর আবার তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ এসে খালেদ আহমেদ ও তার পরিবারের ৫ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। খালেদের ঘর থেকে ৫ ভরি স্বর্নালংকা ও নগত ১লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে যায় চুরচক্র। অন্য এক পরিবারের সদস্য বাকের মিয়া জানান, রান্না ঘরের জানালার গ্রীল ভেঙ্গে চুরচক্র ভেতরে প্রবেশ করে আলমিরা ভেঙ্গে ব্যবসার নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। পুলিশ একটি বাসার লোকজনদের উদ্ধারের সময় একই বাসার উপরের ফ্লাটের বসবাসকরি একজন হঠাৎ জেগে ওঠে চিৎকার করলে ওই পরিবারের আরো ১১ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এর মধ্যে আব্দুল লতিফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ সয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, সন্ধ্যার কোন এক সময় দুষ্কিৃতিকারীরা রান্নাঘরের জানালা দিয়ে খাবারে চেতনানাশক স্প্রে করে থাকতে পারে। রাতে এ খাবার খেয়ে এই তিনটি পরিবারের সদস্যা অচেতন হয়ে পড়ার সুযোগে জানালার গ্রীল ভেঙ্গে খালেদ মিয়ার বাসার আলমিরা থেকে নগদ টাকা ও স্বর্নালঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান, ওসি তদন্ত হুমায়ুন কবির।