বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি ৪ লাখ টাকায় আপোষে নিস্পত্তি করা হয়েছে।
চৌমহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামের লতিফ হোসেনের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আমির হোসেনের নামে বরাদ্দ ভাতা তার মা আমিরুন্নেছা পেয়ে থাকেন। কিন্তু সেই ভাতার টাকা ১০ বছর ধরে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আসছেন চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদ হোসেন। তিনি সেই ভাতার টাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আমির হোসেনের মায়ের কাছে সম্পূর্ণ টাকা না দিয়ে অর্ধেক টাকা দিয়ে যান। প্রতিবাদ করলে মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিলের হুমকি দেন তিনি।
এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধার মা আমিরুন্নেছা।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলাবক্সপুর গ্রামের ফরিদ হোসেন গত দশ বছর ধরে তার শহীদ ছেলের নামে যে ভাতা সরকার দেয় সেই অর্ধেক টাকা ফরিদ হোসন আত্মসাৎ করে আসছেন।
আমিরুনেছা লিখিত অভিযোগ করার পর ক্যাপ্টেন (অবঃ) কাজী কবির উদ্দিন, চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপন মিয়া, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা, সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য সেলিনা আক্তার ঘটনাটি আপোষ করতে আমিরুনেছার পরিবার ও ফরিদ হোসেনকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বসেন। সেখানে ফরিদ হোসোনকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি আপোষে নিষ্পত্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের ভাতিজা নাঈম মিয়া জানান, কমান্ডার ফরিদ হোসেন তাদের কাছ থেকে চেক বই নিয়ে যায়। চেক বই থেকে টাকা তুলে ফরিদ হোসেন অর্ধেক টাকা নিয়ে যেত। অভিযোগ করার পর ক্যাপ্টন (অবঃ) কাজী কবির, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মহিলা মেম্বারসহ সবাই বসে ফরিদ হোসেনকে ৪ লাখ টাকা দিতে রায় করেন।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের ভাইয়ের স্ত্রী নুর জাহান বলেন, ‘ফরিদ হোসন ১০/১২ বছর ধরে টাকা তুলে অর্ধেক আমাদের দিচ্ছেন, আর বাকি অর্ধেক তিনি নিয়ে নিচ্ছে। তাকে না দিলে ভাতা পাওয়া বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দেন।’
চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আপন মিয়া বলেন, কমান্ডার ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হয়েছিল। ক্যাপ্টেন কবির ইউনিয়ন পরিষদে বসে বিষয়টি শেষ করে দিয়েছেন।
চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ গুলো সমাধান হয়ে গেছে।