মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন
মোঃ আলমগীর মিয়া, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ):
নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ আঞ্চলিক মুল সড়কের রক্তাক্ত মরাদেহ দেখতে পান স্থানীয় পথচারী।
মরদেহটি ব্যাক্তি নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের ছোট ভাকৈর গ্রামের (বড় বাড়ির) মরহুম আবুল কালাম আজাদের বড় পুত্র মোঃ আলমগীর মিয়া (৪০)লাশ হিসাবে শনাক্ত করেন তার পরিবার।
গত বুধবার ভোর রাতে মধ্য রাতে নবীগঞ্জ ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির ইন্সেপেক্টর সামছুদ্দিন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তে জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ-বাহুবল উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্কেল এ এসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ঘটনাস্থলে আসেন। মোঃ আলমগীর মিয়ার মৃত্যুতে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
নিহতের পরিবারের দাবী তাকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছে। এবং এটাকে রোড এক্সিডেন্ট হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পানা করা হয়।
নিহত মোঃ আলমগীর মিয়ার ভাই রুনেল জানান, তার ভাই বেগমপুর গ্রামে একটি বাড়িতে প্রতি দিন যাওয়া আশা করতেন। ওই দিন রাতে তিনি ওই বাড়িতে যান। রুনেল বলেন যেভাবে রাস্তায় আমাদের ভাইয়ের লাশকে ফেলে রাখা হয়েছে এবং শুধুমাত্র মাথায় আঘাত করা হয়েছে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। যদি সড়ক দূর্ঘটনা হত তাহলে শুধু মাথায় আঘাত নয় সম্পূর্ণ শরীরে একাধিক স্পট থাকত। আমরা ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। আমরা হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ইনাতগঞ্জ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ সামছুউদ্দিন জানান, রাতে কোন অজ্ঞাতনামা গাড়ী থাকে চাপাদিলেই ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে সড়ক দুর্ঘটনার চিহ্ন রয়েছে। আমরা ধারানা করছি একটি সড়ক দুর্ঘটনা তবে নিহত পরিবার যদি মামলা দায়ের করে সেটা তাদের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার আমরা ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে পরে বুঝতে পারবো এটা পরিকল্পিত হত্যা নাকি সড়ক দুঘটনা।