করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

হবিগঞ্জে এএসপির চেম্বার: উৎপুল্ল তৃণমূলের ভূক্তভোগীরা

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২১

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: তৃণমূল মানুষের সুবিচার নিশ্চিত করতে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এএসপির চেম্বার চালু করা হয়েছে। চেম্বার চালু করায় উৎফুল্ল সাধারণ ভূক্তভোগীরা। গ্রাম গঞ্জে বসছেন সহকারী পুলিশ সুপার। যেখানে ওসির সাথে কথা বলতে যেতে হত থানায় এখন ইউনিয়নে বসছেন এএসপি। এ নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে চলছে আলোচনা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী।

এর আগে রোববার দুপুরে তিনি বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন বিট পুলিশিং কেন্দ্রে এএসপির চেম্বার এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এএসপির চেম্বার-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষে মিরপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ও এএসপির চেম্বারের উদ্ভাবক পারভেজ আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রান্তিক অঞ্চলের সহজ-সরল মানুষজনের মনের অভিযোগগুলো শুনতেই আমার নতুন এই প্রয়াস। যারা থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করতে ইতস্তবোধ করেন বা ভয় পান তাদেরকে আইনী পরামর্শ ও সহযোগিতা করতেই ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে এএসপির চেম্বার স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছি।

এখানে সহজ উপায়ে গরীব ও অসহায় মানুষজন আমার কাছে আসবে এবং তাদের মনের দুঃখের কথাগুলো বলতে পারবেন। সেই সাথে তারা পাবেন সুবিচার।

তিনি বলেন, ডাক্তার চেম্বারে বসে রোগী সেবা দিয়ে অর্থ পান। এএসপি’র চেম্বারে আমার মাধ্যমে বিনামূল্যে সেবা পাবেন তৃণমূল লোকেরা। দালালমুক্ত করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছি।

বাহুবল প্রেসক্লাব সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ আব্দুল মান্নান বলেন, বাহুবল ও নবীগঞ্জবাসীর সুখবর। প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে এবং তাৎক্ষণিক পুলিশি সেবা প্রদান করার লক্ষে বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী উপজেলা প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে এএসপির চেম্বার স্থাপন করেছেন। তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন অফিসের একটি রুমে স্থাপিত এএসপির চেম্বারে সপ্তাহে একদিন বসবেন।

সেখানে তিনি প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের অভিযোগ শুনে আইনি পরামর্শ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পশ্চিম জয়পুর গ্রামের কৃষক ছালাম জানান, এতদিন শুনতাম চেম্বারে ডাক্তার বসে, আজ শুনলাম পুলিশের বড় অফিসার সিনিয়র এএসপি রচেম্বার করবেন। আমার মত গ্রামের মানুষের ফিরিস্তি শুনবেন। তা যদি সত্যি হয় তাহলে আমাদের আনন্দের আর সীমা থাকবে না। থাকবে না মারামারি,জুয়া ভন্ডামি।

মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম আহমদ বলেন, স্যার যদি ইউনিয়ন অফিসে বসেন তাহলে আমার ইউনিয়নে আর মারামারি, জুয়া,মাদক থাকবে না। আমি দেখেছি পারভেজ স্যার যোগদানের পর থেকে তিনি মামলা না নিয়ে সামাজিক বিচারে শেষ করেছেন অনেক বিষয়। চারগাও গ্রামের ১৫ বছরের বিরোধ সামাজিকভাবে শেষ করে বাহুবলে ইতিহাস রচনা করেছেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ