করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: র‌্যাবের হাতে শ্বশুর গ্রেফতার

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবলে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী তানিয়া আক্তার (২২) কে ধর্ষনের পর হত্যায় বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা রুনা আক্তার।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে দেবর জানে আলমকে প্রধান আসামী করে শ্বশুর-শ্বাশুরী, ননদসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

মামলা দায়েরের পর র‌্যাব অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতক ১টার দিকে উপজেলার ফদ্রখলা গ্রাম থেকে মামলার দুই নং আসামী শ্বশুর হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করেছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে দেবর জানে আলম। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে লাশ দাফন করা হয়েছে।

জানা যায়, বাহুবল উপজেলার মির্জাটুলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া আক্তার (২২) এর সাথে তিন বছর পূর্বে বিয়ে হয় একই উপজেলার ফদ্রখলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের সাথে। বিয়ের পর তাদের কোল জুড়ে আসে ২২ মাসের একটি পুত্র সন্তান। সুখেই যাচ্ছিল তানিয়ার দাম্পত্য জীবন।

কিন্তু সুন্দরী তানিয়ার প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে দেবর জানে আলমের।

জানে আলম দুই সন্তানের পিতা। তার কু নজর পড়ে সুন্দরী বড় ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়ার প্রতি। তানিয়াকে প্রায়ই সে উত্যক্ত করত। তানিয়া শ্বশুর শ্বাশুরীকে বিষয়টি বার বার জানালেও তারা কোন কর্নপাত করেনি। জানে আলমের স্ত্রীকেও বিষয়টি জানায় তানিয়া। এ নিয়ে জানে আলমের সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়াও হয়। স্ত্রী নিষেধ করলেও তার নিষেধ মানেনি জানে আলম। এক পর্যায়ে জানে আলমের ঘর ছাড়ে তার স্ত্রী। বিষয়টি ছড়িয়ে পরে পুরো গ্রামে।

এ দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে জানে আলম। বিচার দেয়ার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া উঠে সে। রোববার দিবাগত রাতে দরজার লক ভেঙ্গে তানিয়ার রুমে প্রবেশ করে তানিয়াকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে জানে আলম। এক পর্যায়ে তানিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়।

রাতে তানিয়ার ছোট ভাই তানভীরকে ফোন দেয় জানে আলম। ফোন দিয়ে বলে, তার স্ত্রী অসুস্থ একটি সিএনজি নিয়ে আসতে। সে সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে জানে আলমের বাড়িতে গিয়ে দেখে তার স্ত্রী নয় তানভীরের বোন অসুস্থ অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে।

পরে তাকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে বিষ পান করেছে বলে ভর্তি করায় তানিয়ার শ্বশুরবাড়ীর লোকজন।

এদিকে সোমবার ভোরে তাকে নিয়ে সিলেট হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে তাকে গলাটিপে হত্যা করে জানে আলম ও তার শ্বশুরবাড়ীর লোকজন।

বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মামলা দায়েরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের এসআই মনির গ্রেফতারে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফদ্রখলা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ