সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৯:১০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজ। তবে ব্রিজ নির্মাণ হলেও দুইপাশে নেই চলাচলের রাস্তা। এতে ব্রিজের সুবিধা পাচ্ছেন না হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার লালপুর, নিধনপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সেতুটি এখন এলাকাবাসীর কাছে মরার ওপর খরার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের লালপুর নিধনপুর গ্রামের কয়েক হাজার জনগণ একটি খালের উপর ব্রিজের অভাবে বাঁশের সাকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছিল। এ নিয়ে করাঙ্গীনিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে শুরু হয় ব্রিজের কাজ। ব্রিজের কাজ শেষ হলেও ব্রিজের গোড়ায় মাঠি না থাকায় লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রিজটি জনগনের কোন কাজে আসছে না।
স্থানীয় রজব আলী, আব্দুল আউয়ালসহ একাধিক লোকজন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার সামান্য জায়গা ভাঙা। ব্রিজের গোড়ায় মাটি ভরাট করে দিলেই আমদের অন্য রাস্তা ঘুরে যাওয়া লাগতো না। তারা আরও জানান, বিষয়টি কয়েকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনও লাভ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা রুনা আক্তার নামে এক গৃহিণী বলেন, আমাদের জীবনযাত্রা মান উন্নয়নের নামে চলছে নাটক। এ ব্রিজ নির্মাণের আগে নৌকা/বাশের সাকো দিয়ে যেভাবে খাল পাড় হয়েছি এখনও ব্রিজের পাশে মাঠির ব্যবস্থা না হওয়ায় একইভাবে পারাপার হচ্ছি।
ছাত্রনেতা আজিজ সিদ্দীকি জানান, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সাধারণ গ্রামবাসীর প্রাণের দাবি ছিল খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ। ব্রিজ নির্মাণের সেই দাবি পূরণ হলেও পারাপারের সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজটি কোনো কাজেই আসছে না। এর ফলে স্থানীয় রোগী, শিক্ষার্থী আর ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা চরম দুর্ভোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বাহুবল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিষ কর্মকার জানিয়েছেন, ফান্ডের স্বল্পতার কারনে ব্রিজের গোড়ায় মাঠি দেওয়া সম্ভব হয়নি, ব্রিজের নিচের পানি কমলেই স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবের মাধ্যমে মাঠি ভরাট করে ব্রিজটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা তালুকেদারের ব্যবহৃত সরকারী মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।