বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জালিয়াতির মাধ্যমে সনদপত্র তৈরি করে সাবরেজিষ্ট্রারী অফিসে দলিল লিখার কাজ দীর্ঘ দিন করছিলেন আব্দুল লতিফসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জে দূনীতি দমন কমিশন
অধিদপ্তরে অভিযোগ করা হলে তদন্তের ভিত্তিতে প্রমাণিত হওয়ায় সনদপত্র বাতিল করা হয়।
জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের মো: আব্দুল লতিফ দূর্নীতির অভিযোগে সনদপত্র বাতিল হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তিনি ২টি ভাড়াটিয়া ঘর নিয়ে নিজের নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দলিল তৈরি করেছেন মো: আব্দুল লতিফ।
আর সনদধারী ব্যক্তির নামে দলিল সম্পাদন করে চালিয়ে যাচ্ছেন দলিল লিখার কাজ। এতে করে সনদধারী সাধারণ দলিল লিখক পড়েছেন বিপাকে।
সনদপত্র বাতিল হওয়া সত্ত্বেও তিনি কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজারের রুস্তুম মার্কেটে ও মুন্সীবাজারে ভাড়াটিয়া ঘর রেখে নাম প্লেইট টাঙিয়ে তিনি দলিল লিখার কাজ করছেন। দলিল সম্পাদন শেষে পরিচিত সনদধারীকে দিয়ে দলিল সম্পাদন করছেন।
এব্যাপারে কমলগঞ্জ দলিল লিখক সমিতির সভাপতি বখতিয়ার খান বলেন, মো: আব্দুল লতিফের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনিতো দলিল করছেন না। অন্য সনদধারীকে দিয়ে দলিল তিনি করাতে পারেন।
কমলগঞ্জ দলিল লিখক সমিতির সহ-সভাপতি মো: সামছুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, মো: আব্দুল লতিফ এর দলিল লিখার সনদপত্র ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় দূনীতি দমন কমিশন কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে শুনেছি। গত বছর
কমলগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার বরাবরে প্রকৃত দলিল লিখকদের নাম টাঙ্গানোর জন্য আবেদন করা হলে তা আমলে নিয়ে অফিসে টাঙানো হয়।
বাতিল হওয়া সনদধারীরা সাইনবোর্ড নিজ অফিসে টাঙিয়ে নাম ব্যবহার করে দলিল
লিখার কাজ করছেন। পরে সনদধারী দলিল লিখকদের মাধ্যমে সম্পাদন করছেন। এমনকি সাবরেজিষ্ট্রারী অফিসে তাদের সর্বত্র বিচরণ রয়েছে। এতে করে প্রকৃত দলিল লিখকরা পড়ছেন বিপাকে।
এ বিষয়ে মো: আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের বলেন, আমি দলিল লিখার কাজ করি না।
এ ব্যাপারে প্রকৃত দলিল লিখকরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছেন।