বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০১:২৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: অর্জুন লস্করের পর সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান ও ৫ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম।
শুক্রবার রাতে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক জিহাদুর রহমানের আদালতে সাইফুর ও দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে রবিউলের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক জিহাদুর রহমানের আদালতে মামলার ৪ নম্বর আসামি ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন লষ্করে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এরও আগে শুক্রবার বিকেলে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক জিয়াদুর রহমানের আদালতে তাদের হাজির করে পুলিশ। এ সময় আসামিরা আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাদের প্রথমে অর্জুন লস্করের এবং পরে সাইফুর রহমানের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এছাড়া সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে রবিউল ইসলামের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাদের আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। আদালতে আসামিরা ঘটনার সাথে নিজেদেও সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
এর আগে গত সোমবার সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান। এছাড়া মামলায় গ্রেফতারকৃত আরো ৫ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শনিবার (৩ অক্টোবর) মামলায় রিমান্ডে থাকা আসামি রাজন, আইনুল ও মুহিবুর রহমান রনিকে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যারাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক নববধূ। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় এজাহারনামীয় সব আসামিসহ সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র্যাব-৯ এর হাতে গ্রেফতার আটজনের প্রত্যেককেই ৫ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ও রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হচ্ছে- সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন, তারেক আহমদ, আইনুল ও মাহফুজুর রহমান মাছুম।