• Youtube
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

৫১ মুসল্লি হত্যা: হামলাকারীর সাজার শুনানি শুরু আজ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০

করাঙ্গীনিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের দুটি মুসজিদে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ৫১ মুসল্লিকে হত্যাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে রায়ের শুনানিতে সোমবার আদালতে হাজির করা হবে।

কয়েক দিনের শুনানির পর চলতি সপ্তাহে ভুক্তভোগীদের পরিবার সদস্যদের উপস্থিতিতে তার সাজার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে।

ইতিমধ্যে রায়ের শুনানির জন্য তাকে ক্রাইস্টচার্চে নিয়ে আসা হয়েছে।

টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, রোববার বিকালে স্থানীয় বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর একটি বিমান থেকে তাকে নামানো হয়। এ সময় তার শরীরে সুরক্ষা পোশাক ও মাথায় হেলমেট ছিল।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তাকে ঘিরে রেখেছিল। এরপর একটি সাদা ভ্যানের পেছনে চড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এই উগ্রপন্থীকে।

৫১ মুসল্লিকে হত্যা, ৪১ জনকে হত্যাচেষ্টা ও একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের দোষ স্বীকার করেছে এই অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসী।

নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের খবরে জানা গেছে, অকল্যান্ডের পারেমোরেমোতে অবস্থিত কারাগার থেকে ঘটনাস্থল ক্রাইস্টচার্চে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে।

সোমবার ক্রাইস্টচার্চের একটি আদালতে এই হত্যা মামলার শুনানি হবে। সেখানে হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা তাদের বক্তব্য রাখবেন।

রায় ঘোষণার আগে ব্রেন্টন ট্যারেন্টকেও জবানবন্দি দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।

নিউজিল্যান্ডে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। মুক্তির কোনো সম্ভাবনা না রেখেই বিচারক এমন রায় দিতে পারেন, যদিও দেশটিতে এমন রায় একেবারে বিরল।

শরীর চর্চার প্রশিক্ষক ট্যারেন্ট অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডে যান ২০১৭ সালে। এরপর অস্ত্র সংগ্রহ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ যার বাস্তবায়ন ঘটে।

তার স্বজনদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, তার বয়স যখন কুড়ি, তখন বাবার উত্তরাধিকার সূত্রে ইউরোপ ভ্রমণের সময় সে উগ্রপন্থার সংস্পর্শে আসে। আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে পরিচয় ঘটে তার।

মসজিদে হামলার আগে অনলাইনে প্রকাশ করা এক ইশতেহারে মুসলমান ও অ-ইউরোপীয় অভিবাসীদের প্রতি তার ঘৃণার কথা জানায়। ‘ব্যাপক প্রতিস্থাপন তত্ত্বের’ প্রতি তার বিশ্বাসের কথাও প্রকাশ করেছে।

এই তত্ত্বের মতে, শ্বেতাঙ্গদের জন্মহার কমে যাওয়ার কারণে অশ্বেতাঙ্গরা সেই জায়গা দখল করে নেবে।

তার ইশতেহার ও হত্যার ভিডিও নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই ২৯ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় জুমার সময় মুসল্লিদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালালে আল-নূর মসজিদের ৪৪ মুসল্লি ও কয়েক মাইল দূরের লিনইউড মসজিদের সাত মুসল্লি নিহত হন।

যাদের সে হত্যা করেছে, তাদের মধ্যে তিন বছর বয়সী শিশুও ছিল।

হত্যাকাণ্ডে পাঁচটি অস্ত্র ব্যবহার করেছে ট্যারেন্ট। যা সে বৈধভাবেই কিনেছে। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে আর কখনো এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটেনি।

এই ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের বন্দুক আইন সংশোধন করা হয়েছে। এতে বেসামরিক লোকদের জন্য আধাস্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর ৫৬ হাজার ২৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র ক্রেতাদের কাছ থেকে ফেরত নেয়া হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ট্যারেন্ট নিজের নৃশংসতা দেখাতে চেয়েছে। যে কারণে মসজিদে গুলি চালিয়ে সে যখন নিরাপদ মানুষের রক্তের বন্যা বইয়ে দিচ্ছিল, তখন সে তা সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচার করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ