সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্র্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হবে। সকাল থেকে চণ্ডিপাঠে মুখরিত থাকবে সব পূজামণ্ডপ। পঞ্জিকা মতে, আগামী শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের।
এর আগে রবিবার সায়ংকালে দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটক (ঘোড়ায়) চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যালোকে (পৃথিবী) আসবেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রোগ-শোক, হানাহানি-মারামারি বাড়বে। অন্যদিকে, কৈলাশে (স্বর্গে) বিদায় নেবেন দোলায় চড়ে যার ফলে জগতে মড়কব্যাধি এবং প্রাণহানির মত ঘটনা বাড়বে। হিন্দু পূরাণ মতে, দুর্গাপূজার সঠিক সময় হলো বসন্তকাল, কিন্তু বিপাকে পড়ে রামচন্দ্র বসন্তকাল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে শরতেই দেবীকে অসময়ে জাগ্রত করে পূজা করেন। সেই থেকে অকাল বোধন হওয়া স্বত্ত্বেও শরতকালে দুর্গাপূজা প্রচলিত হয়ে যায়। এদিকে, পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে জেলাজুড়ে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এখন বইছে উৎসবের আমেজ। ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে পূজামণ্ডপ। উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টায়।
বুধবার মহাঅষ্টমীর পূজা আনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায় এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিটে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে নবমী পূজা। পরদিন শুক্রবার সকাল ৭টায় পূজা সমাপণ ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৮টায়। পরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনব্যাপী উৎসবের।
পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা ইতোমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা শান্তিপূর্ণভাবে যাতে পূজা সম্পন্ন করা যায়, সে বিষয়ে তারা পূর্ণ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবে।