• Youtube
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

নবীগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরীর মামলার বিচার কাজ শুরু

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শনিবার, ৭ মার্চ, ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: ৫আসামিকে পলাতক রেখে ৬বৎসর পর নবীগঞ্জ এর আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরীর মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ইং তারিখে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসিম রেজার আদালতে মামলার বাদী ও মৃত হেভেন চৌধুরীর পিতা মকবুল হোসেন চৌধুরী এই মামলার স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।

পলাতক থাকা আসামিরা হলেন খোর্শেদ আলম (মফিজ), মুছা মিয়া, জুনু মিয়া, মুনায়েম চৌধুরী, মাহফুজ আহমেদ।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউরেটর এডভোকেট সুবীর রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার সময় নবীগঞ্জ নতুন বাজার মুড়ে কলেজ ছাত্রলীগ এর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উক্ত সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরী (২৬) মারাত্নক মারাত্মকভাবে আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতির কারনে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সিলেট ওসমানী মেডিকেলে দুই দিন থাকার পর অবস্থার উন্নতি না হলে রেফার্ড করা হয় ঢাকাতে। কিন্তু মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ইং তারিখে মৃত্যুর কূলে ঢলে পরে হেভেন। হেভেন চৌধুরী মারা যাবার খবরে এলাকায় সুখের ছায়া নেমে আসে।

হেভেন চৌধুরী হত্যার ঘটনায় ওই বছরের ৪ মার্চ হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শেদ আলম (মফিজ) ও জায়েদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন, কাশেম ও মুনায়েমকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

একই সাথে নবীগঞ্জ উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগ এর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়নিহত হেভেন চৌধুরীর পিতা বোরহানপুর গ্রামের মকবুল হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে হাবিবুর রহমান হাবিবকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২ মার্চ গভীর রাতে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হল-হাবিবুর রহমান হাবিব, খোর্শেদ আলম মফিজ , মুছা মিয়া, মাহের, মুনাইম,সুমন, জাহেদ চৌধুরী, কাসেম, মাহফুজ, জুনু মিয়া, ছানু মিয়া, জুয়েল মিয়া, নুরুল আমীন, জুলহাস মিয়া ও পিকলু দাস। পরবর্তিতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার সময় আরও একজন আসামীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এদিকে মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণকালে ৫ আসামী পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ