সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: অবিলম্বে শ্রমআদালত, সিলেট-এর কার্যক্রম শুরু এবং হোটেল সেক্টরে শ্রমআইনের যথাযথ বাস্তবায়নের দাবিতে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫ এর কুলাউড়া উপজেলা কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়।
সোমবার সন্ধ্যার পর শহরের স্টেশন রেড হতে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে স্টেশন রোডস্থ ইউনিয়নের কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কুলাউড়া হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ছায়েদ মুন্সীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশিক খানের পরিচলানায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন মিয়া, মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৪৫৩ এর কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, শ্রমিকনেতা মিজান মিয়া, ভ্যান শ্রমিকনেতা আক্কাস মিয়া প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন সরকার গত ২৪ জুন ২০১৯ শ্রমআদালত, সিলেট স্থাপন করে প্রজ্ঞাপন জারী করার দীর্ঘ ৫ মাসের বেশি অতবাহিত হলেও শ্রমআদালত, সিলেট কার্যক্রম অদ্যাবধি শুরু করা হয়নি। শ্রমিকদের আইনগত অধিকার বাস্তবায়নের সর্বশেষ আশ্রয় স্থল হচ্ছে শ্রমআদালত। কিন্তু শ্রমআদালতের কার্যক্রম শুরু না করায় হোটেল শ্রমিক, চা-শ্রমিকসহ সিলেট বিভাগের কয়েক লক্ষ শ্রমিকের আইনগত প্রতিকারের কোন সুযোগ থাকছে না। এমনকি প্রজ্ঞাপন জারী হওয়ার পর থেকে সিলেটের বিভাগের শ্রমিকদের জন্য চট্টগ্রামস্থ শ্রমআদালতের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। এমনিতেই আমাদের দেশের অধিকাংশ মালিকরা শ্রমআইনের মানেন না বা মানতে চান না। তার উপর শ্রমআদালত, সিলেট কার্যক্রম অদ্যাবধি শুরু করায় তাদের শ্রমআইন লঙ্ঘনের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।
জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ জেলা কমিটির সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিক এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস। এছাড়াও সভার আরও বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ২৪৫৩ এর সভাপতি সোহেল মিয়া, চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক হরিনারায়ন হাজরা, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ তারেশ বিশ্বাস সুমন, হোটেল শ্রমিকনেতা মোঃ জামাল মিয়া, সোহেল আহমেদ সুবেল, মোঃ কিসমত মিয়া, মোঃ গিয়াসউদ্দিন, মোঃ জসিম উদ্দিন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা আরও বলেন হোটেল শ্রমিকরা কাক ডাকা ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও ন্যায্য মজুরি ও আইনগত অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। ২০১৭ সালে সরকার হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য নিন্মতম মজুরির গেজেট(এসআরও নং ৩৮-আইন/২০১৭) প্রকাশ করলেও অদ্যাবধি তা কার্যকর করা হয়নি।
বাংলাদেশ শ্রমআইন অনুযায়ী নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, সার্ভিস বই, প্রতিবছর চাকুরীর জন্য ৪৫ দিনের গ্রাচুইটি, চাকুরীচ্যূতি জনিত ৪ মাসের নোটিশ পে, দেড়দিন সাপ্তাহিক ছুটি, দৈনিক ৮ ঘন্টা সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি প্রদান, বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১৪ দিন অসুস্থ্যতার ছুটি, প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য ১ দিন অর্জিত ছুটি, ১১ দিন উৎসব ছুটি প্রদানের আইন থাকলেও আমাদেরকে এই সকল আইনগত অধিকার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে। হোটেল মালিকরা শ্রমআইনের তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে এই সকল কর্মকান্ড চালালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে নির্বিকার। উপরোল্লেখিত সবই হচ্ছে সরকার ঘোষিত আইন। এই আইন বাস্তবায়নের দায়িত্বও সরকারের। কিন্তু আমাদের দেশের সরকারগুলো হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল শাসক-শোষক শ্রেণির স্বার্থের পাহারাদার। এ কারণে কাগজে কলমে আইন থাকলেও তার কোন বাস্তবায়ন নেই। শ্রমিক শ্রেণি বাঁচার দাবিতে আন্দোলন সংগ্রামে নামলে তাদের উপর নেমে আসে সরকারি বিভিন্ন আক্রমণ নির্যাতন-নিপীড়ন, মামলা-হামলা। পিয়াজ, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রসহ গ্যাস, বিদ্যুত, বাড়িভাড়া, গাড়িভাড়া, চিকিৎসা ব্যয় লাগামহীন বৃদ্ধিতে শ্রমিক-কৃষক-শ্রমজীবী জনগণের অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। Best porn site https://noodlemagazine.com – Watch porn.
সভা থেকে বর্তমান বাজারদেরে সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মূল মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা, গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, মাসিক বেতনের সমপরিমান উৎসব বোনাস প্রদান, হোটেল সেক্টরে ৮ ঘন্টা কর্মদিবসসহ শ্রমআইন বাস্তবায়ন ও সরকার ঘোষিত নিন্মতম মজুরি কার্যকর ও কর্মক্ষেত্রে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করার দাবি জানানো হয়।