শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুরের খানসামায় মোবাইল ফোনে ডেকে এনে তিন বন্ধুকে নিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাতেই প্রেমিক সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরান কে পুলিশ আটক করে।
ঘটনাটি গত শুক্রবার দিবাগত রাতে খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ি ইউপির খামার বিষ্ণুগঞ্জ এলাকায় ঘটেছে।
ভিকটিম ওই কিশোরী(১৯) খানসামা থানায় গত শনিবার প্রেমিক সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরানসহ তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে।
আটক সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরান(২৫) খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ি ইউপির গোবিন্দপুর এলাকার সাহাদাত হোসেনের ছেলে।
অভিযোগের অপর পলাতক আসামিরা হলো, খানসামা উপজেলার খামার বিষ্ণুগঞ্জ মন্ত্রীপাড়া এলাকার সুজন ইসলাম (২২) ও মুকুল শর্মা (২৩)
পুলিশ জানায়, মাস খানেক আগে মোবাইলে কথা ও পরিচয় হয় ওই কিশোরীর সাথে সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরানের। এরপরে বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রেমিক ইমরান। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মোবাইল ফোন করে ডেকে আনে তাকে। বাড়ির বাইরে এলে প্রেমিক ইমরান এবং উৎ পেতে থাকা প্রেমিকের দুই সহযোগী সুজন ইসলাম ও মুকুল শর্মা মেয়েটিকে তুলে নিয়ে খামার বিষ্ণুগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেটের পিছনে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
খানসামা থানার ওসি শেখ কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরানকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অভিযান অব্যাহত আছে।