• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

নবীগঞ্জে ১৩ ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী চুড়ান্ত

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: রবিবার, ১ মে, ২০১৬

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : আগামী ২৮ মে নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রায় ১ মাস ধরে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শেষ হয়েছে।

 

ইতিমধ্যে সরকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী করায় তারা মাঠে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। মাত্র জেলা মনোনয়ন বোর্ড প্রেরিত তালিকার মধ্যে ১৩নং ইউনিয়নে প্রার্থী পরিবর্তিত হয়েছে।

 

 

এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট আতাউর রহমান এর নাম প্রেরন করা হলেও কেন্দ্র থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমানকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে।

 

 

১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নে ইউনিয়নে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বতর্মান চেয়ারম্যান আবুল খয়ের গোলাপকে। কিন্তু গত ২৭ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ইমদাদুর রহমান মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সাথে স্বাক্ষাত করে ইমদাদুর রহমান মুকুলকে মনোনয়ন দেয়ার দাবী জানান।

 

 

এর প্রেক্ষিতে পূর্বের আদেশ বাতিল করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলকে মনোনয়ন করা হয়। এদিকে মনোনয়ন নিয়ে আমেরিকা বিএনপির সভাপতি নবীগঞ্জের কৃতি সন্তান শাহ মোজাম্মেল আলী নান্টু ও সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় নেতা শেখ সুজাত মিয়ার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। মোজাম্মেল আলী নান্টু নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে তার পছন্দের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার জন্য কেন্দ্রে লবিং শুরু করেন।

 

 

কিন্তু তা আমলে না নিয়ে ১৩ টি ইউনিয়নে ১৩ জন প্রার্থীর নাম চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়। দিকে শাহ মোজাম্মেল আলী নান্টু ৫টি ইউনিয়নে তার পছন্দের নেতাদের নাম প্রেরন করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমেরিকা বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল আলীর নান্টুর তালিকার ৫টি ইউনিয়নে প্রার্থীদের মনোনয়ন কেন্দ্র থেকে চুড়ান্ত করা হয়।

 

 

তারা হলেন- ২নং বড় ভাকৈর পুর্ব ইউনিয়নে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, ৯নং বাউসা ইউনিয়নে সাবেক উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মজিদুর রহমান মজিদ, ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নে আজিজুল বারী আমীর ও ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নে ইউপি যুবদলের সভাপতি শাহ মোস্তাকিন আলী।

 

 

এ খবর নবীগঞ্জে পৌছলে মোজাম্মেল আলী নান্টু অনুসারীদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উল্লাস দেখা গেছে। শুরু হয় ওই ৫টি ইউপিতে মিষ্টি বিতরণ। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শাহ মোজাম্মেল আলী নান্টুকে নিয়ে বইছে আলোচনার ঝড়। বাকী ৭টি ইউনিয়নে উপজেলা থেকে প্রেরিত প্রার্থীদের চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

 

 

তারা হলেন- ১নং বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নে স্মৃতি ভুষন দাশ, ৫নং ইউনিয়নে কওছর আহমদ, ৬নং কুর্শি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ, ৭নং করগাঁও ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন, ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মুক্তাদির চৌধুরী, ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নে হাজী মেরাজ মিয়া, ১৩নং পানিউন্দা ইউনিয়নে ছাত্রনেতা রুবেল আহমদ।

 

 

বিএনপি দলের দুর্দীনের অনেক ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন না করে তাদের পছন্দের লোকদের প্রার্থী করা হয়েছে। এতে দলের মধ্যে ব্যাপক কোন্দল ও ভাঙ্গনের আশংকা করছেন অনেকেই। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু জানান, উপজেলার ১২টি ইউপিতে প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রেরন করা হয়েছিল।

 

 

ওই তালিকার বাহিরে ৫টি ইউপিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। বাকী ৭টি ইউপিতে অপরিবর্তিত রেখেই মনোনয়ন পত্র চুড়ান্ত করা হয়েছে।

 

 

এদিকে শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে আমেরিকা বিএনপির সভাপতি শাহ মোজাম্মেল আলীর সমর্থকরা তাদের পছন্দের মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীদের নিয়ে শহরে শোডাউন করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ