• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৭ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

নবীগঞ্জে ৫ ইউপিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রদান

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬

এটিএম সালাম, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : আগামী ২৮ মে নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রায় ১ মাস ধরে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়।

 

ইতিমধ্যে সরকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ১৩টি ইউনিয়নে তাদের দলীয় মনোনয়ন পত্র দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বাক্ষরযুক্ত কাগজ হাতে পেয়ে এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন। সেরে নিচ্ছেন স্ব স্ব ইউনিয়নে দলীয় কর্মী ও বর্ধিত সভা।

 

 

কেবল মাত্র জেলা মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রেরিত তালিকার মধ্যে ১৩ নং ইউনিয়নে প্রার্থী পরিবর্তিত হয়েছে। এখানে জেলা থেকে আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট আতাউর রহমান এর নাম প্রেরন করা হলেও কেন্দ্রীয় নির্বাচনী বোর্ড বর্তমান চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমানকে মনোনয়ন প্রদান করেছেন।

 

 

এছাড়া চমক ও আলোচনার ঝড় উটেছিল ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নে। এখানে প্রার্থী পরিবর্তন করে ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বতর্মান চেয়ারম্যান আবুল খয়ের গোলাপকে দেয়া হয়েছিল।

 

 

গত ২৭ এপ্রিল যুদ্ধাপরাধির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তা বাতিল করে  জেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক প্রেরিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলকে পূণঃরায় মনোনয়ন পত্র প্রদান করে  পুর্বের আদেশ বাতিল করেছেন।

 

 

ফলে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৩টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে বিএনপি অনেকটা রয়েছে পিছিয়ে। এখানে মনোনয়ন নিয়ে আমেরিকা বিএনপির সভাপতি নবীগঞ্জের কৃতি সন্তান শাহ মোজাম্মেল আলী নান্টু ও সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় নেতা শেখ সুজাত মিয়ার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়।

 

গেল বিএনপির বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে মোজাম্মেল আলী নান্টু দেশে এসে নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে তার অনুসারীদেও মনোনয়ন দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে লবিং শুরু করেছিলেন।

 

 

সেখানে আশ্বাস পেয়ে তিনি তার অনুসারীদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ সুজাত মিয়া তা আমলে না নিয়ে ১৩ টি ইউনিয়নে ১৩ জন প্রার্থীও নামের তালিকা কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেন।আর মোজাম্মেল আলী নান্টু জমা দেন ৫টি ইউনিয়নে।

 

 

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আমেরিকা বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল আলীর নান্টুর তালিকার ৫টি ইউনিয়নে প্রার্থীদেও মনোনয়ন পত্র প্রদান করেন নির্বাচনী সেলের দায়িত্ব প্রাপ্ত সমন্বয়কারী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ শাহজাহান।

 

তারা হলেন, ২ নং বড় ভাকৈর পুর্ব ইউনিয়নে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, ৯ নং বাউসা ইউনিয়নে সাবেক উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মজিদুর রহমান মজিদ, ১০ নং দেবপাড়া ইউনিয়নে আজিজুল বারী আমীর ও ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নে ইউপি যুবদলের সভাপতি শাহ মোস্তাকিম আলী।

 

 

ওই ৫টি ইউনিয়নে বিএনপির সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার তালিকায় ছিলেন ২ নং ইউপিতে সাবেক চেয়ারম্যান আশিক মিয়া, ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউপিতে আকিকুর রহমান, ৯ নং বাউসা ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ারুর রহমান, ১০ নং দেবপাড়া ইউপিতে এডভোকেট জালাল আহমদ ও ১১ নং গজনাইপুর ইউপিতে শফিউল আলম বজলু। এ টনাটি নবীগঞ্জে পৌছলে মোজাম্মেল আলী নান্টু অনুসারীদেও মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উল্লাস দেখা গেছে। শুরু হয়েছে ওই ৫টি ইউপিতে মিষ্টি বিতরণ।

 

 

রাজনৈতিক অঙ্গনে শাহ মোজাম্মেল আলী নান্টুকে নিয়ে বইছে আলোচনার ঝড়। আগামী জাতীয় নির্বাচনে নান্টু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নিশ্চিত নির্বাচন করবেন, এমন আভাষ দিচ্ছেন তার অনুসারীরা।

 

 

তারা বলেন, ইউপি নির্বাচনে ৫টি ইউনিয়নে মনোনয়ন এনে প্রথম চমক দেখিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় চমকের জন্য এবার অপেক্ষার পালা। শুক্রবার নবীগঞ্জ শহরে ওই আলোচনাই ছিল টক অব দ্যা টাউন।

 

 

রাজনৈকি বিশ্লেষকরা জানান, এ যাত্রায় হেওে গেলেন সাবেক এমপি শেখ সুজাত। জয়ী হলে শাহ মোজাম্মেল আলী নান্টু। নান্টু সমর্থকদের সুত্রে জানা যায়, ২নং বড় ভাকৈর পুর্ব ইউনিয়নে নান্টু’র মনোনিত প্রার্থী ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান আশিক মিয়া।

 

 

কিন্তু আশিক মিয়া নান্টুর বলয় ছেড়ে শেখ সুজাতের বলয়ে নাম লিখায় তাকে বাদ দিয়ে নান্টু ওয়ার্ড মেম্বার ও বিএনপির ত্যাগী নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবকে মনোনয়ন পত্র প্রদান করেন। এছাড়া দীঘলবাক ইউপিতে দলীয় প্রার্থী নির্ধারনে ব্যর্থ হয়েছে উপজেলা বিএনপি।

 

বাকী ৭টি ইউপিতে শেখ সুজাত মিয়া কর্তৃক প্রেরিত প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়টি রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চুড়ান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় নি।

 

 

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু জানান, উপজেলার ১৩টি ইউপিতে প্রার্থীতা এখনো চুড়ান্ত হয়নি।

 

 

আজ শনিবার চুড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ৫টি ইউপির মনোনয়নের বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ