রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- আওয়ামীলীগ সরকারের কাছে মহানবী হযরত মুহম্মদ (দঃ) এর শানমানও নিরাপদ নয়। রাসূল (দঃ) এর বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদ করলে পুলিশের গুলি খেতে হয়, প্রাণ দিতে হয়, এটা জাতি হিসেবে চরম লজ্জার। ভোলায় নবী প্রেমিকদের উপর গুলিবর্ষণ করে মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুসলমানদের হৃদয়ে রক্ষকরণ হয়েছে। আমরা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১১টায় শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
মহানবী হযরত মুহম্মদ (দঃ) কে নিয়ে কটুক্তির করায় ভোলায় নবী প্রেমিক তৌহিদী জনতার সমাবেশে পুলিশের গুলি বর্ষণে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে জি কে গউছ আরও বলেন- ভোলার ঘটনায় সরকার শান্তিপূর্ন সমাধানে যেতে পারতো। তাৎক্ষনিক আইনী ব্যবস্থা নিতে পারতো। কিন্তু তা না করে সরকার বন্দুকের গুলি দিয়ে মানুষের কন্ঠস্তব্দ করে দিতে চেয়েছে। দেশকে চরম অস্তিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। যে দেশে মধ্যরাতে ভোট ডাকাতি হয়, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে এক দলীয় শাসন কায়েম হয়, সেই দেশের সরকারের কাছ থেকে এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করা যায় না।
তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কটুক্তি করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়, শেখ হাসিনা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করলে তাৎক্ষনিক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে আঘাত আসলে, মহানবী (দঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করলে আইডি হ্যাক হওয়ার নাটক হয়। এর মাধ্যমে সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, মানুষের বাক-স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান দিয়েছে। এর জবাব সরকারকে দিতে হবে। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই অনির্বাচিত মিটনাইট সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া এ দেশে আইনের শাসন ফিরে আসবে না।
পৌর বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা রফিকের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম ও হাজী এনামুল হকের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, এম জি মুহিত, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, মহিবুল ইসলাম শাহীন, তাজুল ইনলাম চৌধুরী ফরিদ, নুরুল ইসলাম নানু, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমাস কাজল, গীরেন্ড চন্দ্র রায়, মর্তুজা আহমেদ রিপন, আজম উদ্দিন, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান আউয়াল, মফিজুর রহমান বাচ্চু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, এডভোকেট ইলিয়াছ আহমেদ, হাসবি সাইদ চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ুম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, জিল্লুর রহমান, আরিফে রাব্বানী টিটু, রায়েদ চৌধুরী রিংকু, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুল ইসলাম, মহিবুর রহমান শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ, জি কে ঝলক, গোলাম মাহবুব, নাজমুল হোসেন বাচ্চু, মজিবুর রহমান মুজিব, এস এম আউয়াল, এডভোকেট আফজল হোসেন, হাবিবুর রহমার হাবিব, দেলোয়ার হোসেন দিলু, কামাল সিকদার, ফারুক আহমেদ, সালাউদ্দিন টিটু, জহিরুল হক সেলিম, এডভোকেট মইনুল হক দুলাল, সৈয়দা লাভলী সুলতানা, সৈয়দ আজহারুল হক বাকু, এডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুয়েল, মুর্শেদ আলম সাজন, মিজানুর রহমান সুমন, শেখ মামুন, সিরাজুল ইসলাম, আবু ছালেক, আশরাফুল আলম সবুজ, ফরিদ মিয়া, ডাঃ আকিকুল ইসলাম বকুল, মস্তুফা মিয়া, ফারুক আহমেদ, রুহুল আমিন, আনিসুজ্জামান জেবু, আক্কাস মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম ফারুক, আব্দুল আজিজ ফরহাদ, আমিনুল ইসলাম, আরব আলী, মিজান উদ্দিন মহন, আব্দুল ওয়াদুদ, আলী হোসেন সোহাগ, সুব্রত দাস বৈষ্ণব, আলকাছ মিয়া, আলী আকবর, হারিছ মিয়া, আনোয়ার মিয়া, মনিরুল হক লিটন, লিটন আহমেদ, সফিক মিয়া, লৎফুর রহমান, আব্দুর রউফ, রায়হান উদ্দিন মেম্বার, মালেক শাহ, নাসির উদ্দিন বাবু, নজরুল ইসলাম কাওছার, কামরুল হাসান রিপন, শাহ আলম গোলাপ, শিপন আহমেদ আছকির, শাহিন মিয়া, সুরাইয়া আক্তার রাখি, আইরিন আক্তার, নুরজাহান বেগম, আফরোজা চৌধুরী, আজিজুর রহমান বাবলু, আবুল খায়ের অপু, শিফন আহমেদ, এডভোকেট জাদিল আহমেদ, দুলাল মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, রুবেল খান চৌধুরী, শাহ মুর্শেদ আলম, বদরুদ্দিন রানা, সৈয়দ আশরাফ আহমেদ, নিয়াজ মুর্শেদ, সাইকুল ইসলাম, ফরহাদ মিয়া প্রমুখ।