শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপূর্ব লিলাভূমি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। এর পাশেই সাতছড়ি চা বাগান। কয়েক বছর আগেও চা বাগানে ছিল বড় বড় গাছ আর চায়ের সবুজ পাতায় ভরপুর। প্রকৃতিপ্রেমীরা সাতছড়ি চা বাগান এলাকায় ঘুরতে গেলে এক নজর ঘুরে আসত চা বাগান। চা বাগানের আশপাশ ঘিরে গড়ে ওঠেছিল পিকনিক স্পষ্ট। কিন্তু সম্প্রতি চা বাগানের শর্ত ভঙ্গ করে চায়ের বদলে সবজি চাষ শুরু করার ফলে বদলে গেছে চা বাগানের দৃশ্যপট।
সবুজে আচ্ছাদিত চা গাছগুলোও যেন হারিয়ে গেছে। এখন বাগানের সেকশন ধ্বংস করে তৈরি করা হচ্ছে কৃষি জমি। তৈরিকৃত কৃষিজমিগুলো দেওয়া হচ্ছে গোপন উপ-ইজারা। বাগান কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বাইরের লোকজন সাতছড়ি চা বাগানের ১নং সেকশনের প্রায় অর্ধশত বিঘা জমিতে চা গাছ ধ্বংস করে সবজি চাষের জমি তৈরি করছে। প্রতি বিঘা জমি গোপনে অর্থের বিনিময়ে ইজারা দিচ্ছে বাগান কর্তৃপক্ষ।
নীতিমালা অনুযায়ী চা বাগানের ভিতর অন্য কোনো ফসল করার নিয়ম না-থাকলেও বাগান কর্তৃপক্ষ নীতিমালা ভঙ্গ করে এ কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে করে বাগান কর্তৃপক্ষ আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে সাতছড়ি চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মনির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চা শ্রমিকদের ঘর তৈরি করার জন্য কিছু জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘর তৈরির সরঞ্জামাদি না থাকায় বরাদ্দপ্রাপ্তরা তাদের জমিগুলোতে চাষাবাদ উপযোগী করে তুলতে পারে।