• Youtube
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

নবীগঞ্জে কিশোরীর পরিবার গৃহছাড়া

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬

নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দিঘলবাঁক গ্রামে লম্পট লন্ডন প্রবাসীর লালসার শিকার এক কিশোরীর পরিবার এখন গৃহছাড়া। শুধু তাই নয়, আদালতে বিচার প্রার্থী হওয়ার কারণে উল্টো তাদের জীবনই এখন বিপন্ন।

 

মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগই করেছে ওই কিশোরীর পরিবার।

 
সংবাদ সম্মেলনে ওই গ্রামের রাজমিস্ত্রি জিতু মিয়ার কিশোরী কন্যা নাজমিনা বেগম জানায়, তাদের মূল বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীণ দৌলতপুর গ্রামে। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দিঘলবাঁক গ্রামের এখলাছ মিয়ার বাড়িতে আশ্রিতা হিসেবে বসবাস করে আসছে।

 

সম্প্রতি এখলাছ মিয়ার চাচাত ভাই একই গ্রামের মৃত সুলেমান সরকারের পুত্র লন্ডন প্রবাসী আলমগীর সরকারের বাড়িতে জীবিকার তাগিদে ঝি-য়ের কাজ নেয় সে। কয়েকদিন যেতে না যেতেই নাজমিনার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে লম্পট আলমগীরের। হঠাৎ একদিন খালি ঘরে নাজমিনাকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আলমগীর। ওই দিন কৌশলে রক্ষা পায় নাজমিনা।

 

 

ঘটনাটি জানাজানি হলে, ক্ষমা প্রার্থনা করে আলমগীর ও তার মা। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি ভুলে যাবার চেষ্টা করে নাজমিনার পরিবার এবং ঝি-য়ের কাজ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নাজমিনা। কিন্তু এতে বেঁকে বসে আলমগীর। সে তখন হুমকি দিয়ে বলে কাজ ছেড়ে দিলে তার ভাইয়ের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেবে নাজমিনার পরিবারকে। একমাত্র মাথাগুজার ঠাইটুকু হারানোর আশঙ্কায় আবারও কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয় নাজমিনা। এরই মাঝে আলমগীরের মা চলে যান লন্ডনে।

 

 

গত ৮ এপ্রিল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টায় আবারও একা ঘরের দুতলায় নাজমিনাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আলমগীর। নাজমিনা তখন বাঁচার চেষ্টা করলে তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে আলমগীর। এসময় নাজমিনার খুঁজে তার পিতা জিতু মিয়া নাজমিনাকে ডাকতে শুরু করলে তাকে ছেড়ে দেয় আলমগীর। পরে আহত নাজমিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হবার পরও গ্রাম্য সালিশে সুবিচার পায়নি নাজমিনার পরিবার।

 

 

এরপর উপায়ান্তর না দেখে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে গত ১২ এপ্রিল মামলা দায়ের করে নাজমিন। মামলা দায়েরের পর পরবর্তী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত।

 

 

এদিকে, মামলা দায়েরের পর এখলাছ মিয়ার বাড়ি থেকে নাজমিনার পরিবারকে উচ্ছেদ করে দেয় আলমগীর। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ভাবে নাজমিনার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় সে। এ অবস্থায় গত কয়েক দিন যাবত মা হারা  ৫ শিশু সন্তানসহ গৃহ ছাড়া হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন নাজমিনার পিতা।

 
সংবাদ সম্মেলনে নাজমিনার পিতা জিতু মিয়া জানান, আলমগীর একজন লম্পট প্রকৃতির মানুষ। ইতিপূর্বে ও সে এলাকায় একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটিয়েছে। বেশ কিছুদিন পূর্বে ছাবু মিয়া নামে তার এক চাচাত ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। ওই ঘটনা জানাজানি হবার পর স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন ছাবু মিয়া। সংবাদ সম্মেলনে জিতু মিয়া এ বিষয়ে সাংবাদিক, প্রশাসনসহ সুশীল সমাজের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ