তবুও থেকে নেই শাহ আরেফিন টিলায় পাথর উত্তোলন। অবৈধ বোমা মেশিন চালিয়ে দিনের দিনের পর দিন প্রশাসনের ‘বন্দি’ আরেফিন টিলায় পাথর উত্তোলন করছে একটি চক্র। আর এই চক্রের মুল হোতা হিসেবে রয়েছেন ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ। যাকে সিলেটের সবাই পাথর শামীম নামেই চিনেন। আর এই কাজে সহযোগীতা করছেন শামীমের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা বিলাল আহমদ ও তার ভাজিতা কেফায়েত উল্লাহ।
জানা যায়, শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংস করে প্রতিদিন প্রায় লাখ খানেক টাকা পকেটে ভরছে এই চক্র। আর অভিরত বোমা মেশিন চালিয়ে পাথর উত্তোলনের ফলে আশেপাশের এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমনকি স্থানীয়দের কৃষি জমি, বাড়িঘর হুমকির মুখে রয়েছে। এছাড়া কিছু বাড়িঘর ভাঙতে শুরু করেছে। এসব বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করলে হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটে। তাই এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয়ও আর প্রতিবাদ করছেন না।
এসব বিষয় নিয়ে গত কয়েকবছরে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট কয়েকটি মামলাও করে। এছাড়া হত্যা মামলাসহ কোম্পানীগঞ্জ থানায় শামীমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে সোমবার বিকেলে ৪টায় শাহ আরেফিন টিলায় পুলিশ ও বিজিবির যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় ১৩টি বোমা মেশিন এবং ১৫টি শেলো মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। এগুলোর মূল্যে প্রায় কোটি টাকা বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে শামীমের ভাতিজা কেয়ায়েত ও ভাই বিল্লাল আহমদ শাহ আরেফিন টিলায় পাথর পরিবহনকারী প্রতিটি ট্রাক্টর থেকে দৈনিক ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আদায় করে। এছাড়াও শামীমের বোন এবং ভাগ্নে জামাল ও সাইফুল মসজিদের নামে জালিয়ার পাড় এলাকায় দৈনিক লাখ টাকা আদায় করে। এখানেও রয়েছে তাদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
তবে ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদের বক্তব্যে নেয়ার জন্য মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পাথর খেকো চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।