পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে: ভারতের মণিপুর রাজ্যের একটি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য থাবাল চোংবা। শব্দবন্ধের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে “চাঁদের আলোতে নৃত্য। অংশগ্রহণকারী পুরুষ ও মহিলা সকলেই একসাথে বৃত্তাকারে দাঁড়িয়ে পরস্পরের হাত ধরে এই নৃত্য করে। এটি একটি জনপ্রিয় মণিপুরী লোকনৃত্য।
সোমবার রাতে কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের ছনগাঁও এলাকায় মৈতৈ মণিপুরী সম্প্রদায় জ্যোৎস্নার আকাশে দল বেঁধে তরুন তরুণীরা উন্মুক্ত একটি মাঠে গোল আকারে একটি মঞ্চ তৈরি করে আপন মহিমায় ব্যাকুলতা নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত এি নৃত্য চলে।
মঞ্চের মাঝখানের গোল বৃত্তে বসা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পীরা ‘থাবল চুম্বা’ অনুষ্ঠানের সংগীত পরিবেশন করেন।
মণিপুরী ভাষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজসেবক ইবুংহাল সিংহ শ্যামল বলেন, ‘আমাদের নয়াপত্তন গ্রামে উন্মুক্ত মাঠে মঞ্চ করে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আয়োজন করা হয়েছে ‘থাবল চুম্বা’ অনুষ্ঠান। বৃত্তাকার মঞ্চে প্রথমে নৃত্য করে এ গ্রামের অবিবাহিত যুবতীরা। এরপর নৃত্য করতে প্রবেশ করে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মণিপুরী যুবকরা। পূর্ণিমার চাঁদের সঙ্গে মিল রেখে ‘থাবল চোংবা’ নামের মিলন মেলায় প্রায় ৩ শতাধিক যুবক-যুবতি একসঙ্গে নৃত্য করে।’
একে অপরের হাত ধরে নৃত্যের ফাঁকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে কথোপকথন ও ভাব বিনিময়। মধুর প্রেম ভালোবাসাকে চিরন্তন করতে এবং ঈশ্বরের সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রতি বছর এ আয়োজন করা হয়।