- Youtube
- English Version
শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, বেড়েছে খুন,ছিনতাই, রাহাজানি,লুটপাট
- সংবাদ প্রকাশের সময়: সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। বেড়েছে খুন, ছিনতাই, চুরি,ডাকাতি রাহাজানি, লুটপাট। চোঁখে পড়ার মত কোন কাজ না করায় একধরনের উচ্ছৃঙ্খল জনতার উত্থান ঘটেছে।
এই বিশৃঙ্খলাকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জেলার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অপরাধ কর্মকান্ড সংগঠিত হলেও ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন কিংবা আসামী গ্রেফতারে পুলিশের উদাসীনতা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে জনমনে। তারা পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমানের দ্রুত প্রত্যাহার চান।
গেল মাসের ২১ ফেব্রুয়ারী বাহুবল উপজেলা মহিলা জামায়াতের নেত্রী মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মিনারা আক্তারকে বাসায় ডুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
গত ৩ ফেব্রুয়ারী রাত ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ থানা এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়েন মহসিন নামের এক ব্যবসায়ী। এসময় তার মোটরসাইকেল, মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
একই দিনে উপজেলার অলিপুর এলাকায় লাশবাহী এম্বুলেন্সেও ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এর পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারী ভোর রাতে উপজেলার পুরানবাজারে সৌরভ ইলেক্ট্রনিক্স দোকানে তালা ভেঙ্গে অর্ধ লাধীক টাকার মালামাল চুরি হয়। এর আগে জানুয়ারী মাসে উপজেলার মরড়া সড়কে কাজিরগাও গ্রামের আব্দুল আজিজ নামে এক সেনিটারী মিস্ত্রীকে হাতপা বেঁধে মোটরসাইকেল, মোবাইল, টাকা পয়সা নিয়ে যায় ডাকাতদল।
গত মাসে উপজেলার অলিপুর স্কয়ার গেইট এলাকার বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে গেইটের তালা ভেঙ্গে মোটরসাইকেল চুরি হয়।
১৪ জানুয়ারী অলিপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাসার তালা ভেঙ্গে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায় ডাকাতরা। এক মাস থেকে অলিপুর স্কয়ার গেইটের সামনে মহাসড়কে যানবাহন আটকীয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুরাইকলা বাজারে জনৈক ব্যবসায়ীর দোকানে এক মাসের ব্যবধানে দুইবার চুরি সংঘটিত হয়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারী বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান,স্থানীয় কুমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা মরহুম শাহ মাহবুবুর রহমান বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ঘরে থাকা লোকজনকে বেঁধে ফেলে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৬/৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
গেল মাসের ২৬ ফেব্রুয়ারী বাহুবলের মিরপুর দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক নুরুউদ্দিনের বাসার তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে নগদ টাকা সহ স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
একই মাসের ২৭ তারিখ একই মাদ্রাসার শিক্ষক বড়গাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা নুরুল হকের বাড়ির পাশে থাকা ৫০ টি কাঠাল গাছ ও ৮ টি অন্যান্য গাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
দুর্বৃত্তরা বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী বন থেকে রাতের আধারে অবৈধভাবে চোরাই গাছ কেটে সকাল বেলা বিশ্বরোড থেকে ট্রাক-লরিসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে এসব গাছ বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে।
একের পর এক চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত একটি ঘটনার সুরাহা করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে চরম আতংকে বিরাজ করছে জনমনে। মানুষ জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, ইদানিং পুলিশ নেশা গ্রস্থ, ইয়াবা গাঁজা ব্যবসায়ী ও চোর ডাকাতদের গ্রেফতার না করার কারনেই এমনটা হচ্ছে।
উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রটারী আজহারুল ইসলাম মোয়াজ বলেন, বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা অপরাধ কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। এসব কারনে আইনশৃংখলা অবনতি হচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনী সন্তোষজনক কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোনের মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনশৃংখলা উন্নতির ক্ষেএে আমার দল সব সময় প্রশাসনের পাশে ছিল, আছে, থাকবে।
