শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০২:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: সিলেট শহরতলির টুকের বাজার ইউনিয়নের খালিগাঁও গ্রামে প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী টুকের বাজার সরকারী প্রাথমীক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী (৮)।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টুকেরবাজারের খালিগাঁও গ্রামে নলেজ হোম একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে প্রায় আধা ঘন্টা সিলেট সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, টুকের বাজারের খালিগাঁও গ্রামের নলেজ একাডেমিতে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন ওই স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয় হায়দরপুর গ্রামের রাজা মিয়া। সোমবার সন্ধ্যায় রাজা মিয়ার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসা অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে ২য় শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ছুটি না দিয়ে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রী ঘরে না ফেরায় মা-বাবা ঘটনাস্থলে পৌছে মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এমন খবর আশপাশে ছড়িয়ে পরলে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে নলেজ একাডেমির শিক্ষককে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে সোমবার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক প্রায় আধাঘন্টা অবরোধ করে রাখে। পরে টুকের বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদ আহমদ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নেন। বর্তমানে ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন জানান, ২য় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিয়োগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে সে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওসিসিতে ভর্তি আছে। তিনি ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষককে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান।
এ ব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদ আহমদ জানান, যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যান্ত ন্যাক্কার জনক। এই ঘটনা খবর শুনে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। ওই স্কুল শিক্ষক নয়, সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক। সে শিক্ষা নয় কু-শিক্ষা অজর্ন করেছে। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিলম্বে ঘটনার মূল হোতাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘৃণিত কাজ যেনো কেউ করার সাহস না পায়।