রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের বাহুবলে ১১০০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ জিরা ও নগদ টাকা জব্দ করেছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার মিরপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ৩৬০ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের অধিনস্থ ১৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ৬০ কেজি ভারতীয় জিরা ও নগদ ১৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮৫ টাকা।
অভিযান পরিচালনাকারী দলের সূত্রে জানা গেছে, বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে মিরপুর দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি স্থানে ভারতীয় চিনি মজুদ হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর হবিগঞ্জ ক্যাম্প থেকে লেফটেন্যান্ট জামিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি পেট্রোল দল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে যায়।
এ সময় মিরপুর বাজারের ব্যবসায়ী রহমত আলীর বাসার নিচ তলার গোডাউনে প্রায় ৫শ১৩ বস্তা ভারতীয় চিনি মজুদ করা অবস্থায় দেখাতে পায় তারা। পরে গোডাউনে তল্লাশি করে ভারতীয় চিনির বস্তার এবং বিপুল পরিমান দেশীয় কোম্পানী ফ্রেশ ব্র্যান্ডের খালি চিনির বস্তা পাওয়া যায়।
তখন গোডাউনের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ভারতীয় চিনি ফ্রেস ব্র্যান্ডের চিনির বস্তায় প্যাকেট করে দেশীয় চিনি বলে বাজারজাত করা হয়। অভিযানকালে বাজারের কাছে আরও দু’টি স্থান থেকে মোট ৩৯৯ বস্তা বস্তা ভারতীয় চিনির সন্ধান পাওয়া যায়। রহমত আলীর গোডাউনের উপরে তার বাসা থেকে তল্লাসী চালিয়ে ৬০ কেজি ভারতীয় জিরা, নগদ ১৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮৫ টাকা ও একটি টাকা গুনার মেশিন জব্দ করা হয়। অভিযানকালে রহমত আলী বাসায় ছিলেন না।
অভিযানকারী সেনাবাহিনীর পক্ষে রহমত আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে বাহুবল থানার এসআই সোহেলের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জব্দ তালিকা তৈরি করেন। উদ্ধারকৃত চিনি, জিরা ও নগদ টাকা বাহুবল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বাহুবল মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২১২ বস্তা চিনি উদ্ধার করে ট্রাক চালককে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, জব্দকৃত ৯০০ বস্তা চিনির মধ্যে ৭৮০ বস্তা চিনি সুলতান মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি সুনামগঞ্জ থেকে নিলামে ক্রয় করে এসব রহমত আলীর নিকট বিক্রি করেছেন। এমন একটি কাগজ তাদের কাছে দেয়া হয়েছে। অন্যান্য চিনি এবং জিরার কোন বৈধ কাগজপত্র তারা এখনও দিতে পারেননি।