রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে খোয়াই নদীর ভাঙন আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই আবারও শুরু হয়েছে বালুখেকোদের তান্ডব।
খোয়াই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দেদারছে চলছে বালু উত্তোলন। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। আর এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইজারাদার ফারুক মিয়া। এসব বালু পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ ট্রাক্টর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পূর্ব লেঞ্জাপাড়া ও সদর উপজেলার লস্করপুর এলাকার এলাকার একাধিক স্থানে বিকট শব্দে চলছে ড্রেজার মেশিন। নদী গর্ভের বালু উত্তোলন করায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে তীরে।
স্থানীয়রা জানান, গত আগস্টে ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বাঁধ ভাঙার উপক্রম হয় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার আলাপুর ও লেঞ্জাপাড়া এলাকার দুটি পয়েন্টে। ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করেন তারা। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বালুভর্তী বস্তা ফেলে কোনরকম ভাঙন থেকে রক্ষা পায় নদীর বাধ। এই আতঙ্ক কাটার আগেই আবারো বালু উত্তোলন শুরু হওয়ায় চরম হতাশায় ভুগছেন তারা।
আব্দুল কাইউম, তাহির মিয়া নামে একাধিকব্যক্তি জানান, খোয়াই নদীর এই অংশটি ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় এলাকাবাসী একাধিকবার বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করলেও বালুখেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় তা মানছেন না। উল্টো ভয় দেখানো হয় হামলা-মামলার। এমনকি উপজেলা প্রশাসন থেকেও একাধিক নিষেধ করা হলেও বালুখেকোরা কোন কর্ণপাত করছে না।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করলেও তিনি কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খোয়াই নদীর পুর্ব লেঞ্জাপাড়া অংশে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন আক্কাস মিয়া ও লস্করপুর এলাকার শাহ আলম নামে দুইব্যক্তি। তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ইজারাদার ফারুক মিয়ার নির্দেশেই তারা বালু উত্তোলন করছেন।
ঝুঁকিপূর্ন অংশ থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ফারুক মিয়া বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আমি এসবে নাই, আমার কিছু লোক আছে তারা দেখাশোনা করে। বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমার জানা নাই। বর্তমানে আমি অসুস্থ। ইউএনও মহোদয় আমাকে ডেকেছিলেন আমি যেতে পারিনি।
একই বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি লোক পাঠিয়েছিলাম তারা গিয়ে ঘটনাস্থলে কাউকে পায়নি, পরবর্তীতে ইজারাদারকে নিয়ম মেনে বালু উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছি।