শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০২:২৭ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: বছর ঘুরে আবারো রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে রমজান মাস। রমজান কোরআন নাজিলের মাস, কুরবাত ইলাল্লাহ তথা আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস এটি। ক্ষমাপ্রাপ্তির মাস রমজান, নেকির পাল্লা ভারী করার মাস হচ্ছে রমজান।
এ মাসের প্রধান আমল হলো ফরজ রোজা। রোজা শব্দটি ফার্সি, যার অর্থ ‘বিরত থাকা’। আরবিতে বলা হয় সিয়াম, অর্থ ‘বিরত থাকা’, ‘আত্মসংযম করা’ ইত্যাদি। পরিভাষায়; সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য পানাহার, দাম্পত্য মিলন ও রোজা ভঙ্গ হওয়ার সকল বিষয় থেকে বিরত থাকার নামই সিয়াম।
আরবি ‘রামাদ’ শব্দ থেকে এই মাসের নাম এসেছে। যার অর্থ ‘তপ্ত’ বা ‘শুষ্কতা’। গ্রীষ্মকালেই প্রথম রমজান মাস পালিত হয়েছিল, সে জন্যই এমন নামকরণ করা হয়েছে। নামকরণের আরেকটি প্রতীকী কারণ হচ্ছে, গ্রীষ্মের সূর্য যেমন পৃথিবীকে দগ্ধ করে, তেমনি এই মাস সব পাপকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়।’ (মুসনাদ আহমদ)।
জান্নাতের সুসংবাদ নিয়ে রমজান মাসের আগমন হয়
তাইতো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘রমজান মাস যখন আগমন করে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের শৃংখলাবদ্ধ করা হয়। (নাসায়ী, আল মুসতাদরাক)
মুমিনের অতীতের গুনাহ সমূহকে মুছে দেয় এই মাস। এ প্রসঙ্গে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে এবং সওয়াব অর্জনের নিয়তে রমজানের সিয়াম পালন করবে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (বোখারি ও মুসলিম)
হযরত আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন; ‘যে লোক ঈমান ও ইহতেসাবের সঙ্গে রমজানের রোজা পালন করবে তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (বোখারি, মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমাদ)।
রমজান মাস সহানুভূতির মাস। রমজান মাস এলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুঃস্থ-অসহায় মানুষদের প্রতি দান সদকা করতে উৎসাহিত করতেন। হযরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকদের মধ্যে অতিদান