রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের রাজনগরে ইটা চা বাগানে দশম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করে দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছে বাগানের শ্রমিকরা।
এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়ে শনিবার সকালে বাগানের স্টোর এলাকায় ২ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করে প্রায় ১২শ শ্রমিক।
এসময় তারা চা শ্রমিকের সন্তান স্কুল ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বাগান থেকে উচ্ছেদের দাবি জানায়। এরআগে গত ৩ সেপ্টেম্বর আরো একবার একই দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছিল শ্রমিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ইটা চা-বাগানের আব্দুল আজিজের ছেলে করিমপুর খলাগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র আব্দুর রহিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই বিদ্যালয়ের তার সহপাঠী ওই বাগানের ৫নং সেকশনের মাসুদ মিয়ার মেয়ে ইয়াছমিন আক্তারের সঙ্গে। এঘটনা জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে গত ১৫-১৬ দিন ধরে বিরোধ দেখা দেয়। পরে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়।
এসময় ইয়াছমিনের বাড়ির আশেপাশে গেলে রহিমকে মেরে ফেলবে বলে ইয়াছমিনের পরিবার হুমকি দিয়েছে- এমন দাবি শ্রমিকদের। ঘটনার পনেরদিন পর গত রবিবার দিবাগত রাত (২ সেপ্টেম্বর) ১২টার দিকে আব্দুর রহিমের লাশ একটি আকাশী বাগানের একটি গাছের সাথে ঝুলানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই পালিয়েছে ইয়াছমিনের পরিবার।
শনিবার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবিতে এবং ইয়াছমিনের পরিবারকে উচ্ছেদের দাবীতে ইটা বাগানের শ্রমিকেরা ২ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন ও বিক্ষোভের সময় বক্তব্য রাখেন- বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক আদিল আহমদ, চালেক আহমদ, ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন, বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি নাসিম আহমদ, সাবেক ইউপি সদস্য আপানা নাইডু প্রমুখ।
বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নাসিম আহমদ বলেন, ঘটনার পর থেকে ইয়াছমিনের পরিবারের সবাই পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। ওই পরিবার বাগানের শ্রমিক নয়। তারা এখানে বাড়ি তৈরি করে থাকছে। দ্রুত ওই পরিবারকে বাগান থেকে উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে আবারো বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি করেছে। বাগান কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে ৪দিনের সময় নিয়েছেন।
বাগানের সহকারী ব্যাবস্থাপক আদিল আহমদ বলেন, কেউ আইন যাতে নিজের হাতে তুলে না নেয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে শ্রমিকদের বলা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ দেখছে। তদন্তে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। শ্রমিকদের দাবি কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে।