• Youtube
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪১ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলে প্রাথমিক বৃত্তিতে ব্যাপক দুর্নীতি: তদন্তে গাফিলাতি

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষা ২০১৮ এর ফলাফলে অস্বাভাবিক নাম্বারসমূহ যাচাই পূর্বক সঠিক নাম্বারের ভিত্তিতে ফলাফল পূণ:প্রকাশের জন্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান রিয়াদ নামের একজন পরীক্ষার্থীর অভিভাবক মো: আব্দুল কদ্দুছ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে একটি আবেদন করেন।

পরীক্ষার্থীর খাতা ও নম্বরফর্দে ভুয়া নম্বর প্রদান করা হয়েছে এবং নম্বর কাটাকাটি করে বৃদ্ধি করা হয়েছে মর্মে আবেদনে উল্লেখ করেন। এর আগে তিনি বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরেও একটি আবেদন করেন।

আবেদন পত্রটি তদন্তের দায়িত্বপান তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রফিকুল ইসলাম। তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা এর সত্যতার প্রমান পান। অদৃশ্য কারনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি ইউএনও।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো: আতাউর রহমানের স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন সিলেট বিভাগীয় উপ পরিচালক একেএম সাফায়েত আলমকে।

গত ৮ই আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় উপ পরিচালক এ.কে.এম সাফায়েত ্আলম স্বাক্ষরিত একটি পত্রে আবেদনে বর্ণিত রোলধারী পরীক্ষার্থীদের উত্তরপসমূহ যাচাই করে সুস্পষ্ট মতামতসহ ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে।

কিন্তু প্রায় এক মাস হলেও তদন্ত কর্মকর্তা কোন তদন্ত রিপোর্ট জমা দেননি। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। জনমনে প্রশ্ন কত বছর লাগবে এ তদন্তে?

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের উপজেলার প্রাথমিক বৃত্তি ও সমাপনী পরীক্ষায় ৫ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সন্তান বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি অর্জন করেন। তাদের স্কুলের সাময়িক পরীক্ষা এবং মডেল টেস্ট পরীক্ষায় তারা ৪০০ নম্বরের বেশি পায়নি তারা সমাপনী পরীক্ষায় প্রায় ৬০০ নম্বর পেয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পরীক্ষক ও নিরীক্ষককে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে শিক্ষকরা তাদের সন্তানদের বৃত্তি ফাইনাল করেন।

স্কুলের সাময়িক পরীক্ষা এবং মডেল টেস্ট পরীক্ষায় যারা ৪শ নাম্বারের বেশি পায়নি সেই ছাত্ররা হলেন মাহমদুল হক (পশ্চিম ভাদেশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়) রোল নং- ৩৪০৬ তার পিতা পশ্চিম ভাদেশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

উন্মে ফারিহা চেীধুরী ( সুজন বিদ্যাপিট) রোল নং- ১৮২২, তার মা উপজেলার হরাইটেকা স্কুলের শিক্ষিকা রাজিয়া খাতুন, সানিয়া আল নওশীন (বাহুবল আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়) রোল নং -১৫৮৬, তার পিতা ফয়জাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল আলম, দীপ শিখা দেবী পূজা (বাহুবল আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়) রোল নং -১৫৯১ ও দ্বীপরাজ নাথ কৃষ্ণ (বাহুবল আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়) রোল নং -১৫৬৩ তাদের মা আদিত্যপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

২০১৮ সালে প্রকাশি বৃত্তি পরীক্ষার খাতা স্ব স্ব উপজেলার শিক্ষকগণ নিজে মূল্যায়ন করার কারনেই তাদের পছন্দমত শিক্ষার্থীদের মার্ক কাটাছেড়া করে বেশি পাইয়ে দিয়েছে। এমনকি নিজের সন্তানের খাতা নিজেই দেখেছেন পশ্চিম ভাদেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হক।

গত বছর প্রাইমারীতে বৃত্তি পাওয়ার হার ছিল নগন্য, কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শিক্ষার্থীরাই প্রথম হয়েছে বারবার। এ বছরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সন্তানরাই বেশি বৃত্তি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।

বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক বলেন, আমি নতুন এই উপজেলায় যোগদান করেছি, বিষয়টি আমার জানা নেই।

হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত সপ্তাহে একটি চিঠি পেয়েছি, তদন্তে এখনো যাইনি, তদন্ত করতে গেলে তো কিছু লেখালেখির বিষয় আছে, তদন্তটা তো সিক্রেট বিষয় একটু লেইট হতেই পারে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক এ.কে.এম সাফায়েত আলমের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ