করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

শিগগিরই বিরোধীদের এক দফার আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০২৩

করাঙ্গীনিউজ: জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করছে বিরোধী দলগুলো। অভিন্ন দাবি নিয়ে শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করা হবে। তবে দাবি আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা একক মঞ্চ থেকে হবে না-কি আলাদা আলাদা মঞ্চ থেকে হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি গণতন্ত্র মঞ্চ ও অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। দলগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ে মতদ্বৈততা থাকলেও তা কাটিয়ে উঠা যাবে বলে নেতারা আশা করছেন।

মধ্য জুলাইয়ে যৌথ রূপরেখা ঘোষণা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। যৌথ রূপরেখা ঘোষণার পর থেকে মূলত এক দফার আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে বলে বিরোধী নেতারা জানিয়েছেন।

সূত্রের দাবি জুলাইয়ের শুরুতে দলগুলো বৈঠক করে যৌথ ঘোষণার দফাগুলো চূড়ান্ত করবে। যার ভিত্তিতে আগামীর আন্দোলন চলবে।

বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনে সফলতা আসলে এবং নির্বাচনে বিজয়ী হলে ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারের যৌথ রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সমমনা দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে, দলীয় ফোরামে আলোচনার পর এই রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়। এর আগে বিএনপি ঘোষিত ২৭ দফার সঙ্গে সমন্বয় করে এই ৩১ দফা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

চূড়ান্ত রূপরেখায় নির্বাচনে জয়ী হলে একটি জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই সরকার ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

‘যৌথ রূপরেখা’ নিয়ে গত সোমবার সকালে গুলশানে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

সেখানে নেতারা ঈদের পর ‘যৌথ রূপরেখা’ ঘোষণা দেয়ার বিষয়ে একমত হন। তবে কয়েকটি ধারায় কিছুটা দ্বিমত থাকলেও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন, বিএনপির ৩১ দফা ও তাদের ৩১ দফার মিল আছে। শুধু ধারা আগে পরে হয়েছে।

সূত্র জানায়, ঈদের পরপরই ‘যৌথ রূপরেখা’ নিয়ে বসবে বিএনপি। একই সঙ্গে এক দফার আন্দোলন কর্মসূচিও চূড়ান্ত করবেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী দলগুলোর এক মঞ্চ থেকেই ‘যৌথ রূপরেখা’ ঘোষণা দেয়ার পক্ষে কথা বলছে। সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনে পৃথকভাবেও ঘোষণা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন, বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফার সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের ৩১ দফায় শব্দগত কিছু পরিবর্তন থাকলেও অনেক দফায় মিল আছে।

আপত্তি শুধু বিএনপি প্রস্তাবিত ৭ দফায়। বিএনপির প্রস্তাবিত ৭ দফায় বলা হয়েছে- আস্থাভোট, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধনী বিল এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত এমন সব বিষয় ছাড়া অন্যসব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিবেচনা করা হবে।

অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের ৩১ দফায় ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বলা হয়েছে- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার করে সরকার গঠনে আস্থাভোট ও বাজেট পাস ব্যতীত সব বিলে স্বাধীন মতামত প্রদান ও জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার নিশ্চিত করা হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যৌথ রূপরেখা’ ঘোষণা দেয়ার বিষয়টি অনেক দূর অগ্রগতি হয়েছে। দু’একটি বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও তা সমাধানের চেষ্টা চলছে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। এনিয়ে একাধিক বার বৈঠক হয়েছে। সবাই একটা সিদ্ধান্তের দিকে আছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বরকতউল্লাহ বুলু বলেন, যৌথ রূপরেখা নিয়ে আমরা গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক করেছি। গত সোমবারও আমাদের আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সবাই একটা জায়গায় আসতে পেরেছি। আশা করি ঈদের পর যে কোনো সময়ে ‘যৌথ রূপরেখা’ ঘোষণা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ