শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০২:২৬ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ ডেস্ক:
যে দিকে চোখ যায়, শুধুই ধ্বংসের ছবি। এবড়ো-থেবড়ো কামরা থেকে উঁকি দিচ্ছে হাত-পা।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও।
শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি মালগাড়িও।
এই ৩ ট্রেনের দুর্ঘটনায় ওড়িশার বালেশ্বর এখন মৃত্যুপুরী। শনিবার (৩ জুন) ভোরের আলো ফুটতেই দুর্ঘটনার বীভৎস চেহারা প্রকাশ্যে এসেছে। চারদিকে রক্তের দাগ আর মানুষের হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে আহতদের চিকিৎসায় রক্তদানের হিড়িক পড়েছে বালেশ্বরে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা
শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার পর ঘুটঘুটে অন্ধকারে স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। রাত পেরিয়ে ভোর, মৃত এবং আহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩শ জনে পৌঁছেছে। আহত ৯শ জনেরও বেশি। আহতদের জন্য রক্তদান করতে লাইন দিয়েছেন বহু মানুষ। এই চিত্র দেখা গেছে বালেশ্বরে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে গণেশ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় আমি কাছেই ছিলাম। প্রায় ২০০-৩০০ জনকে উদ্ধার করেছি। ’ জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত আগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী এখনও আটকে রয়েছেন।
দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে গেছেন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবসহ রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এদিকে ঠিক কীভাবে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনওজানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলবিভাগ। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে গেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও।