• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:১১ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বহুদলীয় গণতন্ত্র ও শহীদ জিয়া

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

মঈনুল হাসান রতন: আজ ১লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী । জাতীয়তাবাদী ইতিহাস শুরু ১৯৭৮সালে। জিয়াউর রহমান শাসন বার গ্রহনের পর ১৯৭৬ সালে ২৮ শে জুলাই রাজনৈতিক দল বিধি জারি করেন। ১৯৭৭ সালে বিচারপতি আব্দুর ছাত্তারকে আহ্বায়ক করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) গঠন করেন।

আর সময়ের দাবী মেতানোর জন্যই জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্ম হয়েছিল। তখন রাজনীতি শূন্যতা ছিল। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে ১লা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী একটি আলাদা প্লাটফরমে একত্রিত করার জন্যই গড়ে ছিলেন জাতীয়তাবাদী দল। শহীদ জিয়া ছিলেন আধুনিক কর্মমুখর বাংলাদেশের রূপকার। জিয়াউর রহমানের দুরদর্শী চিন্তা চেতনার ফসল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। বিএনপি জন্ম দিয়ে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি উপহার দিয়েছিলেন শহীদ জিয়া।

১৯৭৭ সালে ২১শে এপ্রিল জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথমেই এক দলীয় শাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে মানুষের বাগ স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রে স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন তিনি। শহীদ জিয়া চুড়ান্তভাবে দেশের শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

১৮ই ফেবুয়ারী ১৯৭৯ সালে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ৩১টি দলের অংশগ্রহন করেন। এদের থেকে ৩শ আসনের বিএনপি ২০৫টি আসন জয়ী হন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জনগন ও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মনে করতেন গণতন্ত্র সর্বৎকৃষ্ট শাসন ব্যবস্থা। যা দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে এদেশে মানুষের কাছে জননন্দিত রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে পরিচিত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধগত আদর্শের দ্বারাই বিশ্বাসী বলেই বিএনপি এখোনো এ দেশের মানুষের কাছে তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

শহীদ জিয়া উন্নয়ন আর উৎপাদনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। শহীদ জিয়া মনে করতেন গণতন্ত্র হলো জনসাধারণের ক্ষমতা দ্বারা পরিচালিত শাসন ব্যবস্থা। দেশের সকল নাগরিকের কল্যাণ সাধন এর প্রধান লক্ষ্যে হলো গণতন্ত্র। তাই এ দেশের মানুষের কাছে শহীদ জিয়া গনতন্ত্রের সিংহপুরুষ।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার কর্মের দ্বারাই এদেশের আপামর জনতার প্রাণপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি দক্ষ, যোগ্য ও সুনিপুন নেতৃত্বের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মন জয় করে। নেতৃত্ব এক অন্যান্য ও অসাধারণ গুণ ছিল তার। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের প্রতি অধিক গুরুত্ব আরব করেছিলেন। তিনি মনে করতেন ব্যক্তিত্ব ও মনুষ্যত্বের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জুড়ি নেই। আর গনতন্ত্র মানুষের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের সেই লক্ষ্যে পৌছে দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করেগেছেন।

বাংলাদেশের ঘটনাবহুল রাজনীতিতে এই দলটি ৩৫টি বছর অতিক্রম করেছে। শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি দেশের বৃহত্তর একটি রাজনৈতিক দল।

লেখক ও সাংবাদিক
সাধারন সম্পাদক, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব, হবিগঞ্জ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ