রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কলেজ থেকে বাড়ী ফেরার পথে বখাটের হামলায় এক কলেজ ছাত্রী আহত হয়েছে।
শনিবার (৩১আগস্ট) বেলা আড়াই টায় পতনঊষার ইউনিয়নের শ্রীসূর্য্য টিলাগড় পুরাতন মসজিদের পাশে এ বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিউটি আক্তার (১৮) তার সহপাঠীসহ তিন শিক্ষার্থী টিলাগড় মসজিদের পাশে আশার পর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে টিলাগড় গ্রামের মিলন খান এর বখাটে ছেলে সাইফুল খান (২৩) রাস্তা গতিরোধ করে। প্রেমে সায় না দেয়ায় প্রকাশ্যে টানা হেচড়া করে মাটিতে ফেলে বুকের উপর ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাল্লা-চিৎকারে বিউটির গলার স্বর্নের চেইন, ঘড়ি, নাকফুল, কানের দুল নিয়ে বখাটে সাইফুল পালিয়ে যায়। টানাহেচড়ায় মাথা ও পায়ে আঘাত পেয়ে আহত বিউটি আহত হন । পরে সহপাঠী লোবনা বেগম, আকলিমা বেগম তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। বিউটি পতনঊষার স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
আহত ছাত্রীর বাবা আব্দুল করিম এবং স্থানীয় মুরুব্বি ওয়াজিদ মিয়া জানান, বিষয়টি কলেজ শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসন ও কমলগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। এ আঘাতে ছাত্রী শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
খবর পেয়ে পতনঊষার স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান তওফিক আহমদ বাবু, কলেজ অধ্যক্ষ ফয়েজ আহমদ, শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই আনজির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও মেয়ের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পতনঊষার স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি তওফিক আহমদ বাবু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি খুবই দু:খজনক। এ ধরণের ঘটনায় কোন ছাড় দেওয়া হবে না। এর আগেও বখাটে ঐ ছেলের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে।
অভিযুক্ত সাইফুল খানের বাবা মিলন খান ছাত্রীর উপর হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছেলেটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ছেলের যন্ত্রনায় আমি নিজেই অতিষ্ঠ। গত ঈদের দিন সে তার মাকেও মারধোর করেছে। তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত।
শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনজির বলেন, কলেজ ছাত্রীর উপর হামলাকারী ছেলে খুবই খারাপ। ছেলের বাবার বিরুদ্ধেও আগে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছাত্রীর বক্তব্য গ্রহণ করেছি। কিন্তু ছেলেকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ প্রমানিত হলে আইনিভাবে তাকে শাস্তি পেতে হবে।