রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার। বাংলাদেশের প্রায় ৩ কোটি ভোটার যুবক। তারা গত দুইটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। কারণ আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, ভোট ডাকাতি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বসে আছে। তাই আগামী নির্বাচনে এই ৩ কোটি ভোটার বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। ১৯৭১ সালে যেভাবে দল, মত ও ধর্মের উর্ধ্বে উঠে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল, তেমনিভাবে আরেকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আজ বুধবার বিকালে লাখাই উপজেলার ২নং মোড়াকরি ইউনিয়নে যুব-গণসমাবেশে এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি, গ্যাস বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে জি কে গউছ আরও বলেন- আওয়ামীলীগ সরকার আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে সভা-সমাবেশ করে। আর বিএনপি জনগণের পক্ষে, জনগণের দাবী আদায়ে যখন কথা বলতে চায় সেখানেই আওয়ামীলীগ পুলিশকে দিয়ে বাধাঁ সৃষ্টি করে। আওয়ামীলীগ বার বার বাংলাদেশের মানুষকে ধোকা দিয়েছে, বোকা বানিয়েছে। ২০১৪ সালে ১৫৪ জন এমপি বিনাভোটে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করেছে। ২০১৮ সালে আইন শংখলা বাহিনীর সহায়তায় দিনের ভোট রাতেই সম্পন্ন করেছে। মানুষের ভোট ডাকাতি করে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করেছে। তারপরও একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামীলীগের লজ্জা নেই। ২০২৩ সালেও আরেকটি ভোট ডাকাতির নির্বাচন করতে পায়তারা করছে আওয়ামীলীগ। কিন্তু আওয়ামীলীগ আর সেই সুযোগ পাবে না। ২০১৪ আর ২০১৮ সালের নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না।
তিনি বলেন- উন্নয়নের জিকির তুলে ভোট ডাকাতির কলঙ্ক মুছতে পারবে না আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ যদি দেশে এত উন্নয়নই করে থাকে তাহলে সুষ্ঠ নির্বাচন দিতে এত ভয় কোথায়। আসলে আওয়ামীলীগ উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশকে দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্থে নিয়ে গেছে। সরকারের এই ব্যর্থতা জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে বার বার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে। আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে বাজার অস্তিতিশীল। লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানুষ দিশেহারা। এই অবস্থায় দেশের মানুষ আওয়ামীলীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। একটি গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদি আওয়ামীলীগের পতন নিশ্চিত করে বাংলাদেশে ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
উপজেলার যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মালু’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামছুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ ফরিদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুদ্দিন আহমেদ, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য তাজুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তাউছ আহমেদ, সোহাগ চৌধুরী মানিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান চৌধুরী সাচ্চু, বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের, এমদাদুল হক, গোলাম মস্তুফা, রফিক আহমেদ, আব্দুল হান্নান, মহিবুল হাসান, আব্দুর রহিম, সোলেমান মিয়া, ফারুক আহমেদ, খেলু মিয়া, সুলতান মেম্বার, যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান, নুরুল আমিন চৌধুরী, শেখ মাহবুবুল আলম মাহফুজ, তাউছ মেম্বার, শরীফুল ইসলাম বাদশা, সোহেল রানা, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আহমেদ আজম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি, নোমান তালুকদার, কাজল আহমেদ, পারভেজ তালুকদার, মিজানুর রহমান, মিশন মান্না, শাহাবাল তালুকদার, মোতালিব, আক্কাস মিয়া, আব্দুল কাদির,নিপু আহমেদ, রমজান মিয়া, শরীফ আহমেদ, রাজীব আহমেদ, আরিফ, জুবায়ের আহমেদ, রহমত উল্লা, নজিব, আজমান, জাকারিয়া, বাবুল আহমেদ রাজ, আনোয়ার, মোছাব্বির, মাসুম, জাবেদ প্রমুখ।