করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

সিলেট বিভাগে আ’লীগ ৩১, বিএনপি ১৫, স্বতন্ত্র ১৪ জয়ী

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬

করাঙ্গীনিউজ: সিলেট বিভাগের ৭ উপজেলার ৬১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩১টিতে আওয়ামী লীগ, ১৫টিতে বিএনপি, ১টিতে জাতীয় পার্টি এবং ১৪টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়।

জৈন্তাপুর : আমাদের জৈন্তাপুর প্রতিনিধি জানান, দলীয় প্রতীকে তৃতীয় ধাপে প্রথম বারের মত জৈন্তাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ৫৬টি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে এবং বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২টি, বিএনপি ২টি ও সতন্ত্র ২টি ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছে।

১নং নিজপাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মঞ্জুর এলাহী সম্রাট নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫৮২৪ ভোট বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতীদ্ব›দ্বী প্রার্থী ইন্তাজ আলী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৩৯৮১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।

২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মো. এখলাছুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫০৫৭ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বি প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৪০৫০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।

৩নং চারিকাটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৮৫৩ বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতীদ্বদ্বী প্রার্থী সুলতান করিম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৩০৯৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।

৪নং দরবস্ত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী বাহারুল আলম বাহার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৮১৫৬ বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতীদ্ব›দ্বী প্রার্থী কামাল আহমদ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৮৮৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন।

৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী মো. আব্দুর রশিদ ধানেরশীষ প্রতীক নিয়ে ৫৩৮৩ বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতীদ্ব›দ্বী প্রার্থী মো. রফিক আহমদ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩০০৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।

৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুর রশিদ আনারস প্রতীক নিয়ে ৪২৮৬ বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতীদ্ব›দ্বী বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবিএম জাকারিয়া ৩৪০০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন।

কুলাউড়া : ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুলাউড়া উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে দুইটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ, দু’টিতে বিএনপি, তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

নির্বাচিতরা হলেন- বরমচাল ইউনিয়নে আহবাব চৌধুরী শাহজাহান (আওয়ামী লীগ), ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে প্রভাষক মমদুদ হোসেন (আওয়ামী লীগ), কাদিপুর ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান ছালাম (বিএনপি), ভুকশিমইল ইউনিয়নে আজিজুর রহমান মনির (বিএনপি), রাউৎগাও ইউনিয়নে আব্দুল জলিল জামাল (বিএনপির বিদ্রোহী), জয়চন্ডি ইউনিয়নে কমর উদ্দিন আহমদ কমর (বিএনপির বিদ্রোহী) ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে নার্গিস আক্তার বুবলি (স্বতন্ত্র)।

কানাইঘাট : কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ৪টিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে বিএনপি ও ৪টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেনলক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র ডাক্তার ফয়াজ উদ্দিন (ঘোড়া), লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জেমস্ লিও ফারগুসন নানকা (নৌকা), দিঘীরপাড় পূর্ব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আলী হোসেন কাজল (নৌকা), সাতবাঁক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোস্তাক আহমদ পলাশ (নৌকা), বড়চতুল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র মাওলানা আবুল হোসেন (চশমা), কানাইঘাট সদর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত মামুন রশিদ (ধানের শীষ), দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মাসুদ আহমদ (নৌকা), ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপির বিদ্রোহী)  আব্বাস উদ্দিন ও রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফখরুল ইসলাম।

বানিয়াচঙ্গ : আমাদের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান- হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচঙ্গ উপজেলার ১৫টির মধ্যে ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। এ নির্বাচনে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ৩টি এবং ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

তারা হলেন- ১নং সদর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নে গিয়াস উদ্দিন (ধানের শীষ), ২নং সদর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নে ওয়ারিশ উদ্দিন খান (ধানের শীষ), ৩নং  সদর দক্ষিণপূর্ব ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান (আনারস), ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নে লুৎফুর রহমান (নৌকা), ৫নং কাগাপাশা ইউনিয়নে মো. এরশাদ আলী (নৌকা), ৬নং বড়ইউড়ি ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান (নৌকা), ৭নং খাগাউড়া ইউনিয়নে শাহ শওকত আরেফীন সেলিম (নৌকা), ৮নং পুকড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (মোটরসাইকেল), ৯নং সুবিদপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী (নৌকা), ১০নং মক্রমপুর ইউনিয়নে মো. আহাদ মিয়া (নৌকা), ১১নং মন্দরী ইউনিয়নে শেখ সামছুল হক (নৌকা), ১২নং মুরাদপুর ইউনিয়নে মো. মধু মিয়া (ধানের শীষ), ১৩নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নে ফজলুর রহমান খান (নৌকা)।

যদিও প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটার সবার মধ্যে বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে। নির্বাচনকে জনপ্রিয়তার লড়াই বলে মনে করছে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এদিকে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সবকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নৌকা ও বিএনপির প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে ভোটে অংশ নিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ ১৪ ও বিএনপির ৬ বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কায় ৪ জন, খেলাফত মজলিসের দেওয়াল ঘড়ি ২, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের খেজুর গাছ প্রতীকে ২ ও স্বতন্ত্র ২১ প্রার্থীসহ চেয়ারম্যান পদে মোট ৭২ প্রার্থী ভোটযুদ্ধে লড়াই করেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৫৩৮ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৭১ নারী প্রার্থী প্রতীদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ১৩টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৬৫ জন।

নারী ভোটার ৯৫ হাজার ৮৬২ ও পুরুষ ভোটার ৯৪ হাজার ৯০৩ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২১টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র ৮৩টি। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম জানান- নির্বাচনী মাঠে ছিলেন ৮শ’ পুলিশ সদস্য। প্রতী ভোট কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ সদস্য ও ১ জন অফিসারসহ ১৫ থেকে ২০ জন আনসার সদস্য নিরাপত্তায় ছিলেন।

পুলিশের ৩টি মোবাইল ও ১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করেছে। প্রতী ইউনিয়নে ১ প্লাটুন বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও র‌্যাবের ২টি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ছিল। একই সঙ্গে ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তদারকিতে মাঠে ছিলেন। ইউএনও মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেছেন- সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের সব ব্যবস্থা করা হয়। ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। উপজেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজুর উদ্দিন আহমেদ শাহীনের কাছে নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেনএখন পর্যন্ত পরিবেশ সুন্দর রয়েছে। গুরুতর কোনো অভিযোগ নেই। তবে উপজেলা সদরের ১টি ইউনিয়নসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নে বিএনপি কর্মীসমর্থককে হালকা হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কিছু কর্মীসমর্থক। লিখিত নয়, বিএনপি কর্মীসমর্থকরা তার কাছে মৌখিকভাবে এ অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ ছিল, তারা যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান বলেছেনআওয়ামী লীগ চায় এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক। জনগণ তাদের পছন্দেরপ্রার্থীকে ভোট প্রদান করুক। হুমকির বিষয়টি বিএনপি মিথ্যাচার করেছে।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ : আমাদের সুনামগঞ্জ সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি  জানিয়েছেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ৭৭টি কেন্দ্রে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ স¤পন্ন হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা গেছেসকাল ৮টা থেকেই একটানা ভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নারী-পুরুষ ভোটারেরা কেন্দ্রে এসে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান মো.মাসুদ মিয়া (নৌকা) ৭ হাজার ৭৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো.রাজা মিয়া আনারস প্রতিকে ৫ হাজার ৩২১ ভোট পেয়েছেন।

পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মো. নুরুল হক আনারস প্রতিকে ৫ হাজার ৩৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জগলুল হায়দার নৌকা প্রতিকে ৪ হাজার ১১৭ ভোট পেয়েছেন।

পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তার হোসেন চশমা প্রতিকে ৩ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপির মনোনীত মো.আবু তাহের ধানের শীষ প্রতিকে ২ হাজার ৮০০ ভোট পেয়েছেন।

পাথারিয়া ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত বর্তমান মো.আমিনুর ররিশদ আমিন ধানের শীষ প্রতিকে ৩ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ মনোনীত মো.আবুল ফয়েজ নৌকা প্রতিকে ২ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়েছেন।

শিমুলবাক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো.মিজানুর রহমান জিতু নৌকা প্রতিকে ৪ হাজার ১৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মো.আব্দুল্লাহ মিয়া চশমা প্রতিকে ২ হাজার ৯৬৩ ভোট পেয়েছেন।

দরগাপাশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো.মনির উদ্দিন নৌকা প্রতিকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি মনোনীত ও বর্তমান চেয়ারম্যান  মো.সুফি মিয়া ধানের শীষ প্রতিকে ৪ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়েছেন।

পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর কালাম আনারস প্রতিকে ২ হাজার ৭৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. রিয়াজুল ইসলাম নৌকা প্রতিকে ২ হাজার ৩৬৪ ভোট পেয়েছেন।

পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রাহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো.শফিকুল ইসলাম মোটর সাইকেল প্রতিকে ১ হাজার ৯৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামী লীগ মনোনীত মো.জসিম উদ্দিন নৌকা প্রতিকে ১ হাজার ২৯৭ ভোট পেয়েছেন।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আল আমিন জানান, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা ছিল গোটা উপজেলা। যেকোন ধরণের সহিংস ঘটনা যেন না ঘটে এজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন ছিল। এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত সার্বক্ষনিক প্রতিটি কেন্দ্রে টহল জোরদার ছিল।

সুনামগঞ্জ সদর : অপরদিকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুরমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) আব্দুল ছাত্তার ডিলার বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির হোসেন রেজা (আনারস)।

জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) মুর্শেদ আলী, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন জাতীয়পার্টি (লাঙ্গল) আব্দুর রশিদ।

গৌরারং ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী (ধানের শীষ) ফুল মিয়া, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) হোসেন আলী।

রঙ্গারচর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী (ধানের শীষ) আব্দুল হাই, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) আবুল কালাম।

লক্ষণশ্রী ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী (ধানের শীষ) হাজী আব্দুল ওয়াদুদ, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) বখলুল।

মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) নুরুল হক, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) আব্দুস ছুবহান।

কুরবান নগর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) আবুল বরকত, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী (ধানের শীষ) মনফর আলী।

মোহনপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয়পার্টি (লাঙ্গল) নুরুল হক, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন আওময়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) মঈনুল হক, কাঠইর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা) তাজিরুল ইসলাম তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) অ্যাড. বোরহান উদ্দিন।

দোয়ারাবাজার উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী এবং অবশিষ্ট ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ