শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ:
দেশের বেসরকারি হাইস্কুলগুলোয় শিক্ষার্থী ভর্তির অনলাইন আবেদনের লটারি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা দেশে বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০টি শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন করেছে মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩ জন। ফলে বেসরকারি আসন খালি থাকবে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪৭টি। বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির এ ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধনে নাম বা জন্মসনদের নম্বর ভিন্ন করে একাধিক আবেদনকারীদের ভর্তি করা হবে না। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, এ পর্যন্ত পাঁচটি আবেদন পাওয়া গেছে যারা জন্ম নিবন্ধনের নাম এদিক-ওদিক করে, জন্ম সনদের নম্বর ভিন্ন করে একাধিক আবেদন করেছেন।
এগুলো যারা করেছেন, সবাই ধরা পড়বেন। কারণ, ভর্তির সময় জন্ম নিবন্ধন যাচাই করেই ভর্তি করানো হবে। এসব শিক্ষার্থী কোনোভাবেই ভর্তি হতে পারবে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে প্রতিবছর হতো ভর্তিযুদ্ধ। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যুদ্ধে নামিয়ে দেওয়া হতো। একটা শিশু ভর্তি হতে এসেই হতাশ হয়ে যেত। আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেত। এখন সেটা আর হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীর চেয়ে আসন সংখ্যা বেশি আছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কেউ বাদ যাবে না। কারণ শিক্ষার্থীর থেকে আসন বেশি। এখন মেধার সমতা হবে।’ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম হাবিবুর রহমানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও টেলিটকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার সরকারি হাইস্কুলে ভর্তির লটারি হয়। এতে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯০টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনে ভর্তি হতে লড়াই করে ৫ দশমিক ৮ জন শিক্ষার্থী। ভর্তির ফল জানা যাচ্ছে এসএমএসের মাধ্যমে। যে কোনো টেলিটক মোবাইল নম্বর থেকে GSA RESULT <
space> USERID লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে। ফিরতি মেসেজে ফলাফল পাওয়া যাবে। এছাড়া অনলাইনে https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে ফল জানা যাচ্ছে।