রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক: রোববার মেলবোর্নে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে। ফাইনালে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়ের হাতছানি পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের। এর আগে ২০০৯ সালে পাকিস্তান আর ২০১০ সালের শিরোপা জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
ফাইনালের আগে হলফ করে বলা মুশকিল কোন দল চ্যাম্পিয়ন হবে। তবে দলের ভারসাম্যের দিক থেকে পাকিস্তানের চেয়ে ব্যালেন্স টিম ইংল্যান্ড। কিন্তু টিম ভালো হলেই যে চ্যাম্পিয়ন হবে এমনটিও বলা যাচ্ছে না।
সব কথার শেষ কথা হলো— নির্ধারিত দিনে যারা নিজেদের সেরাট উজাড় করে দিয়ে খেলতে পারবে, শিরোপা তাদেরই হবে।
টুর্নামেন্টের এখন পর্যন্ত যা অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে বিশ্বকাপ সেরার মুকুট পেতে পারেন বিরাট কোহলি। সেমিফাইনাল পর্যন্ত ৬ ম্যাচে অংশ নিয়ে চারটি ফিফটির সাহায্যে সবচেয়ে বেশি ২৯৬ রান করেছে কোহলি। তার দল সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নেওয়ায় ফাইনালে নেই কোহলি।
৫ ম্যাচে দুই ফিফটির সাহায্যে ২১১ রান করে সাত নম্বর পজিশনে আছেন ইংলিশ তারকা ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৪৭ বলে চার বাউন্ডারি আর ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৮৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন হেলস।
আর পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ৫ ম্যাচে ১৬০ রান করে ১৬তম পজিশনে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
বোলিংয়ে ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট শিকার করে শীর্ষে রয়েছেন শ্রীলংকার লেগ স্পিনার হাসারঙ্গা ডি সিলভা। ইনজুরি থেকে বিশ্বকাপে ফিরে শুরুর দিকে ঝলক দেখাতে না পারলেও শেষ তিন ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৬ ম্যাচে তার সংগ্রহ ১০ উইকেট। ফাইনালেও গেম চেঞ্জার হতে পারেন। আফ্রিদির মতো সমান ম্যাচে ১০ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে এক ফিফটিসহ ৭৮ রান করেছেন শাদাব খান।
অতীতের বিশ্বকাপগুলোতে যথাক্রমে টুর্নামেন্ট সেরা হন শহিদ আফ্রিদি, তিলকরত্নে দিলশান, কেভিন পিটারসেন, শেন ওয়াটসন, বিরাট কোহলি ও ডেভিড ওয়ার্নার। এর মধ্যে বিরাট কোহলি ২০১৬ ও ২০২১ সালের আসরে টুর্নামেন্ট সেরা হন।