শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০২:২৯ অপরাহ্ন
মীর দুলাল, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্নপাড়ার মাইজের মহল্লার গ্রামের মৃত ধলাই মিয়ার ছেলে কবিরাজ এনামুল মিয়া (৩৫), থানা- বানিয়াচং, জেলা- হবিগঞ্জ কবিরাজি চিকিৎসা নামে জৈনিকা কে ধর্ষন করেন!
সোমবার (০৭ নভেম্বর ২২) ইং দুপুরে কবিরাজ এনামুল মিয়াকে হবিগঞ্জ জেলা বিচারিক আদালতে সোপর্দ করেন বানিয়াচং থানা পুলিশ!
বানিয়াচং থানা পুলিশের সুত্রে জানা যায়! গতকাল ০৬ নভেম্বর রবিবার জনৈক মহিলা বানিয়াচং থানায় আসিয়া অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব’কে ধর্ষনের বিষয় টি জানান!
কবিরাজ কর্তৃক ধর্ষিত হইয়াছে তাহার মেয়ে!
বিষয়টি জানার পর ওসি অজয় চন্দ্র দেব গুরুত্বের সহিত নিজে আসামী গ্রেফতার করার নিমিত্তে অভিযানে পরিচালনা করে এনামুল মিয়াকে গ্রেফতার করেন!
আসামী গ্রেফতারের পর তাহাকে দফায় দফায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে।
সে জানায় দীর্ঘদিন পূর্বে জণৈকা ভিকটিমের উপরি ও জ্বীন-ভূতে ধরিয়াছে মর্মে তথ্য পাওয়ার পর ভিকটিমের মাতা কবিরাজের স্মরনাপন্ন হন।
তখন কবিরাজ সুকৌশলে ভিকটিমের মাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাইয়া বলে তোমার মেয়েকে জ্বীনে ধরিয়াছে।
জ্বীনের দ্বারা সে গর্ভবর্তীও হতে পারে।
তাহাকে একা নিরিবিলি চিকিৎসা করিতে হইবে নতুবা সে সুস্থ হবে না।
কবিরাজের এমন কথায় ভিকটিমের মা ভেঙ্গে পড়েন এবং তার মনের মধ্যে ভয় ঢুকে যায়।
তখন সে কবিরাজের পায়ে পড়ে এবং বলে আপনি যেধরনেরই চিকিৎসা করা লাগে আপনি করেন কিন্তু আমার মেয়েকে সুস্থ করে তুলেন।
অতঃপর কবিরাজ ভিকটিমের মাকে চিকিৎসা করানোর কথা বলিয়া তাহার হীন চরিতার্থ উদ্ধার করার জন্য ভিকটিমকে নিয়া তাহার এক বন্ধুর বাসায় যায়।
সেখানে নিয়া সে ভিকটিমকে একাধিকবার চিকিৎসা করিতেছে বলিয়া ধর্ষন করে এবং গোপনে ভিকটিমের আপত্তিকর অবস্থার স্থির চিত্র ও ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারন করেন!
এরপর সে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় নিয়া ভিকটিমকে ধর্ষন করে।
বিষয়টি ভিকটিম বুঝতে পেরে কবিরাজের সহিত যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে চায়।
তখন কবিরাজের আসল রূপ বের হয়ে আসে।
কবিরাজ তাহার মোবাইলে থাকা ভিকটিমের কিছু স্থির চিত্র ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনের নিকট পাঠাইয়া দিবে বলিয়া ভয় দেখাইতে থাকে এবং তাহার নিকট আসার জন্য বলে।
ভিকটিম তখন বাধ্য হয়ে তাহার মাকে বিষয়টি জানাইলে তিনি বিষয়টি পুলিশ কে জানান!
পরবর্তীতে পুলিশ ধর্ষক কবিরাজকে ভিকটিমের মায়ের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেন!
ভন্ড কবিরাজ তাহার দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।