• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৭ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বিশ্বনাথে ইলিয়াস ইস্যুর নাশকতার ৪ বছর

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৬

নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেটঃ ‘পুড়ছে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তর। পুড়ছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র গাড়ী (সিলেট-ঘ ১১-০২৩৮)। নদীর পানিতে পড়ে আছে আহত পুলিশের দেহ। বিভিন্ন সড়কে পড়ে আছে নিহত আন্দোলনকারীর নিতর দেহ।

 

 

ভাংচুর করা হয়েছে ব্যাংক-বীমা’সহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনকারীদের সাথে চলছে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একের পর এক টিয়ার সেলের ধোয়ায় কালো হয়ে গেছে আকাশ। বাতাসে ভেসে আসছে একের পর এক গুলির শব্দ। মেতায়েন হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।’

 

 

২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে ‘স্থানীয় সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী’র সন্ধান দাবিতে ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সংঘবদ্ধ আন্দোলনের ফলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দেখতে দেখতে চারটি বছর পেরিয়ে গেলেও সে ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারকারী মুখোধারীদের পরিচয় উন্মোচিত হয়নি। এমনকি উদ্ধার হয়নি আন্দোলনকারীদের সেদিন ব্যবহার করা আগ্নেয়াস্ত্রগুলোও।
‘উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তর ও ইউএনও-র গাড়ী পুড়ানো, হত্যা, ভাংচুর, লুটপাঠ, পুলিশ এসল্ট’সহ সেই দিনগুলোর (২২-২৩ এপ্রিল) নাশকতার ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় দায়ের করা ৬টি মামলা রয়েছে আদালতে চলমান।

 

 

প্রথম দিকে সেই মামলাগুলো কয়েক হাজার মানুষকে অভিযুক্ত করা হলেও পরবর্তি সীমিত সংখ্যক (কয়েকশ) আন্দোলনকারীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রেরণ করে পুলিশ। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হামলায় উপজেলা পরিষদের ১৯টি দপ্তরের ১ কোটি ৬২ লাখসহ প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

 
২৩ এপ্রিলের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় যুবদল নেতা মনোয়ার হোসেন, ছাত্রদল নেতা সেলিম আহমদ ও রিক্সাচালক জাকির হোসেন এবং বিশ্বনাথ থানার তৎকালিন পরিদর্শক (তদন্ত) চান মিয়া, নায়েক সাধন চাকমাসহ আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ ও আন্দোলনকারী।

 

 

নিহতদের পরিবারে এখনোও যেমন থামেনি কান্নার রুল, তেমনি অভাব-অনটনে দিন-রাত কাটছে নিহত-আহতদের অনেকের পরিবারের। সংঘর্ষ ও উপজেলা পরিষদের ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণে একই বছরের ১ জুলাই উপজেলার ৭ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণকে করা হয় সাময়িক বরখাস্ত। পরবর্তীতের উচ্চ আদালতের রীটের মাধ্যমে চেয়ারম্যানরা স্ব-পদে বহাল থাকেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ