নিজস্ব প্রতিনিধি:
চাঁদপুর পৌরসভার গৌরবের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক পক্ষতে মঞ্চস্থ হয়েছে জীবন সংকেতের নাটক ‘জ্যোতিসংহিতা’।
বুধবার রাত টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটক শেষে জীবন সংকেতের সভাপতি অনিরুদ্ধ কুমার ধরের হাতে সাংস্কৃতিক পক্ষের ক্রেস্ট তুলে দেন মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল। এসময় মেয়রকে জীবন সংকেতের পক্ষ থেকেও সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
ভাটি বাংলার দুর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা জগৎজ্যোতি দাস এর জীবন ও যুদ্ধগাথার উপর নির্মিত এ নাটকটি থিয়েটারওয়ালা কর্তৃক স্বাধীনতার ৫০ বছরের নির্বাচিত ৫০ নাটকের একটি।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন অনিরুদ্ধ কুমার ধর শান্তনু, সৈয়দ বাকী ইকবাল, রুমা মোদক, সৌরভ বিকাশ দেব, আজহারুল ইসলাম মুরাদ, সুজন চৌধুরী, মাজহারুল ইসলাম পাভেল, নুসরাত জাহান জিসা, আতিকুর রহমান রনি, লুৎফুর রহমান, মুরাদ রহমান, অরুপ দাশ অপু, তন্নী পাল, সুপ্রিয় চক্রবর্তী, জুয়েল রায় জনি, দিব্যেন্দু পাল, শাহ নাসির উদ্দিন রাসেল, ইমন দাস, অভিজ্ঞান ধর কাব্য, অদ্বিতীয়া ধর পদ্য, শম্পা দাশ, শক্তি রাণী দাশ দৃষ্টি,প্রমুখ।
রুমা মোদক রচিত ও সুদীপ চক্রবর্তী নির্দেশিত এ নাটকটিতে বিশাল ভাটি বাংলার বীরযোদ্ধা শহীদ জগৎজ্যোতি দাস ও দাসপার্টির অদম্য যুদ্ধগাঁথাই মূল উপজীব্য। তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথোপকথনে উন্মোচিত হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে স্বাধীনতার চেতনা অন্বেষনের স্বরূপ। ব্যক্ত হয় তারুণ্যের জয়গাথা। যৌবনে প্রগতিশীল রাজনীতি তাঁকে উদ্দীপ্ত করেছিল অকুতোভয় সংগ্রামে। পাক হানাদার বাহিনীর কাছে জগৎজ্যোতি দাস ও তার নেতৃত্বাধীন দাসপার্টি ছিল এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। জগৎজ্যোতিকে হত্যার পর তার মৃতদেহ নিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠেছিলো রাজাকার বাহিনী। বাঙালীর অকুতোভয় এই তরুণ বীরযোদ্ধাকে নিয়ে কী ভাবছে স্বাধীনতার সুফলভোগী বর্তমান প্রজন্ম? এই প্রশ্নের পথ ধরেই নাটকটি পৌঁছে যায় মহাকাব্যিক অতীতে।