• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে তিনশতাধিক  ঘর লন্ডভন্ড

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২
আকতার হোসেন ভূইঁয়া,নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া):
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুল, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও শিলাবৃষ্টিতে ৭টি ইউনিয়নে দেড় হাজার বিঘা আধপাকা বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্যুতের ৬টি খুঁটি ভেঙ্গে সারাদিন  বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সোমবার ভোর  তিনটার দিকে উপজেলায় এ ভয়াবহ কালবৈশাখী বয়ে যায়।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ তারেকের দাবি, শিলাবৃষ্টিতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ক্ষতি হয়েছে। যার পরিমান ১২০ হেক্টের। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি ফসলের ক্ষতির পরিমাণ কয়েক হেক্টর।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়ন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ দুটি   মাদ্রাসা,একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও  ভলাকুট বাজারে ২০টি দোকান এবং ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন  গ্রামের আড়াইশতাধিক  ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও নাসিরনগর সদর, কুন্ডা  ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নে ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তার উপর ঘর  ও অনেক গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে ।
নাসিরনগর সরকারি কলেজের একটি হোস্টেলের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। পূর্ব বালিখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি টেবিল ছাড়া আর কোন কিছুই নেই।
ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া বলেন, হঠাৎ ঝড়ে ইউনিয়ন পরিষদের চালা বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। পরিষদে থাকা উপকারভোগীদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও অফিসের কম্পিউটারটি নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল মিয়া বলেন, ঝড়ের তান্ডবে উপজেলায় দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
পূর্বভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার মিয়া জানান, আমার ইউনিয়নের ভুবন, শ্যামপুর, বেলুয়া ও কিপাতনগর গ্রামের  ব্রি-২৮ ধান শিলাবৃষ্টিতে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মেহেদি হাসান খান শাওন জানান, নাসিরনগর উপজেলায় বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ভলাকুট ও পূর্বভাগ ইউনিয়নে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভলাকুট ইউনিয়নেই প্রায় ২৫০টি  ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ফসলি জমির ব‍্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ৬টি বিদ‍্যুতের খুটি ভেঙ্গে গেছে। সংবাদ পেয়ে    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ রুহুল আমিন ,কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার,অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মুন্সী তোফায়েল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মেহেদি হাসান খান শাওন,থানার অফিসার ইনর্চাজ হাবিবুল্লাহ সরকার,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার অভিজিত রায়,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার  পরিদর্শন করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ