করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছিলেন আব্দুল খালেক স্যার

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২
ফয়সল আহমদ রুহেল : পড়াশোনা চালাতে গিয়ে অন্যের বাড়িতে থেকেছেন লজিং। থাকা খাওয়ার বিনিময়ে ছাত্র পড়িয়েছেন। ছাত্রজীবনে কখনো পায়ে হেঁটে কখনো রেলযোগে আসা-যাওয়া করতেন দীর্ঘপথ। আজ সেই দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়া, অন্যের বাড়িতে লজিং থাকা শিক্ষাগুরুর কথা বলছি। এই শিক্ষাগুরু শিক্ষক হলেন মো. আব্দুল খালেক। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ হাইস্কুলের প্রাক্তন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। শিক্ষকতা জীবনে মো. আব্দুল খালেক ছিলেন ছাত্র-ছাত্রীদের আদর্শ শিক্ষক। নিজ সন্তানদের কাছে তিনি একজন সফল পিতাও।

জন্ম : বৃহত্তর সিলেট জেলার ধর্ম প্রচারক হযরত শাহজালাল (রহ.) সফরসঙ্গী ৩৬০ জন আউলিয়ার মধ্যে ১২০ জন আউলিয়ার মাজার অবস্থিত বিশেষ করে হযরত নাসির উদ্দিন সিপাহশালার এর দরগা অবস্থিত যে গ্রাম- সেই গ্রামের নাম মুড়ার বন্দ। ১৯৪৭ সালে ওই গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক  মো. আব্দুল খালেক। সে বৎসর ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের জন্ম হয়। এই গ্রামটি বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত। এ শিক্ষকের পিতা মরহুম মো. আমদ উল্যা। মাতা মরহুমার ফুল বানু। তারা দুই ভাই-একবোন ছিলেন। বড় ভাই ইন্তেকাল করেছেন প্রায় ৮ বৎসর পূর্বে। ছোট বোন বিবাহিত।

শিক্ষাজীবন :
মো. আব্দুল খালেকের প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি খরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয় থেকে ৪র্থ শ্রেণী পাশ করেন। এরপর তিনি নিজ গ্রাম থেকে প্রায় আড়াই মাইল দূরে শ্রীকুঠা মডেল প্রাইমারী স্কুল থেকে ৫ শ্রেণী বৃত্তিসহ পাশ করেন ১৯৫৮ সালে। ১৯৬৪ সালে শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যাল থেকে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান এবং এসএসসি ফাইনাল পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ লাভ করেন। পরে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ থেকে ১৯৬৬ সালে এইচএসসি পাশ করেন। একই কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে ৩য় বিভাগে বি.কম পাশ করেন। ১৯৮০-৮১ সালে তিনি কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি.এড সম্পন্ন করেন।

শৈশব

শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মো. আব্দুল খালেক শৈশবকাল শুরু হয় নিজ গ্রামেই। গ্রামের পাশে অন্য গ্রামে একটি প্রাইমারী মক্তব ছিল। ক্লাস ছিল ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত। একজন শিক্ষক ও ২০/২৫ জন ছাত্র নিয়ে এই বিদ্যালয়ের পাঠদান চলতো। খরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। ওখান থেকে ৪র্থ শ্রেণী পাশ করেন। এরপর নিজ গ্রাম থেকে প্রায় আড়াই মাইল দূরে শ্রীকুঠা মডেল প্রাইমারী স্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে ৫ম শ্রেণী বৃত্তিসহ পাশ করেন। ১৯৫৯ সালে শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। সে সময় উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন সিলেটের জকিগঞ্জের একজন নামকরা শিক্ষক জনাব আব্দুন নূর চৌধুরী সাহেব। তিনি একজন সফল ও স্বার্থক প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ৫ম শ্রেণীতে বৃত্তি পাওয়ার সুবাদে তিনি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য মো. আব্দুল খালেককে মনোনীত করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় তখন ৫ম শ্রেণীতে ইংরেজী কোন বিষয় ছিল না এমনকি ইংরেজী লেটারও শিক্ষা দেওয়া হতো না। তাই ইংরেজী ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে না পারায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হন তিনি। হাইস্কুলটি ছিল বাড়ি থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে। রাস্তাঘাটের অবস্থাও ভাল ছিল না। তারা কয়েকজন সহপাঠী পদব্রজে স্কুলে যাতায়াত করতেন। ২/৩ মাস পরে তাঁর এক সহপাঠী সুন্দর আলী নামে একজনের বাড়িতে থাকা খাওয়ার সুবিধা হয়। কিন্তু ৭ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাঁকে লজিং পরিবর্তন করতে হয় বিদ্যালয় থেকে প্রায় ২ মাইল দূরে। লজিং মাস্টার খুব ভালো মানুষ ছিলেন। কিন্তু আব্দুল খালেকের ছাত্রটি ছিল অত্যন্ত অমনোযোগী। ৯ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হবার পর আবারও লজিং পরিবর্তন করতে হয় তাঁকে। এবার ভাগ্য গুণে তিনি লজিং পান বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী গ্রামে। বিনিময়ে ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রকে পড়াতে হয়। এ লজিং বাড়িতে বেশ আদর যত্ন পান তিনি। ১৯৬৪ সালে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান এবং এসএসসি ফাইনাল পরীক্ষায় ৫৭৬ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় বিভাগ লাভ করেন। ওই বৎসর ৬৪ জন ছাত্রছাত্রী এসএসসি পরীক্ষার জন্য মনোনীত হন। একজন প্রথম বিভাগ বাকী সব ২য় ও ৩য় বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
পরবর্তীতে শুরু হল জীবনের দ্বিতীয় পর্যায়ে। ভর্তি হলেন হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজে। তখন কলেজটি বেসরকারি কলেজ। কলেজের মানবিক, ব্যবসা ও বিজ্ঞান শাখা ছিল। প্রিন্সিপাল ছিলেন একজন তেজস্বী অতি গুণবান ব্যক্তি। নাম জনাব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। আব্দুল খালেক ব্যবসা শাখায় ভর্তি হন। এ সময় ১ম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। বিশিষ্ট কয়েকজন অধ্যাপক ছিলেন।

১৯৬৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ১ম বর্ষ পরীক্ষার সময় আব্দুল খালেকের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন। মনে খুব বেশী ব্যথা পান আব্দুল খালেক। যাই হোক ১৯৬৬ সালে তিনি এইচএসসি পাশ করেন। সে সময় কলেজ থেকে ৫-৬ মাইল দূরে জগতপুর নামে একটি গ্রামে লজিংয়ে থাকতেন। তখন হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন চালু ছিল। সকাল ৯টায় পাইকপাড়া স্টেশন থেকে রেলযোগে কলেজে আসা-যাওয়া করতেন তিনি। ১৯৬৭ সালে বি.কম এ ভর্তি হন। ১৯৬৮ সালে ৩য় বিভাগে বি.কম পাশ করেন। ঐ বৎসর বৃন্দাবন কলেজ থেকে মাত্র ১৭ জন ছাত্রছাত্রী বি.কম পাশ করেছিল।

শিক্ষকতা : ১৯৬৮ সালে বি.কম পাশ করার পর একদিন কোথায় যেন যাওয়ার পথে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে আব্দুল খালেকের হাইস্কুলের একজন স্যারের সঙ্গে দেখা হয়। জনাব আব্দুল হাই স্যার তখন বাল্লা বর্ডার এলাকায় একটি হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং ঐ বৎসর কুমিল্লা টি.টি কলেজে বি.এড করছিলেন। স্যার আব্দুল খালেককে তাঁর স্কুলে যোগদান করার জন্য অনুরোধ করেন। এরপর স্যারের একটি পত্রসহ পরদিন সেই স্কুলে যান এবং ঐদিনই স্কুলে যোগদান করেন তিনি।
থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয় বিদ্যালয়ের একজন সদস্য জনাব আব্দুল মন্নান নামে একজনের বাড়িতে। যোগদানের পর থেকেই তাঁকে নবম, দশম শ্রেণীর ইংরেজী পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইংরেজী বিষয়ে মোটামোটি একটি ভাল ধারনা থাকায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ছাত্র মহলে আব্দুল খালেকের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
১৯৬৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ঐ স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। নভেম্বর মাসের শেষের দিকে শায়েস্তাগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক,  শ্রদ্ধেয় স্যার জনাব আব্দুন নূর চৌধুরী একটি পোস্ট কার্ডে আব্দুল খালেককে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে লিখেন এবং পরদিনই স্যারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। স্যার আব্দুল খালেককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘শিক্ষকতা যদি করতে হয় তবে আমার স্কুলে চলে এস।’ আব্দুল খালেক ১৯৬৯
সালের ৩০ নভেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ হাইস্কুলে যোগদান করেন। স্যার আব্দুল খালেক সম্পর্কে জানতেন বিধায় ক্লাসে ইংরেজী পড়ানোর সুযোগ দিলেন। আব্দুল খালেকের লেখাপড়াকালীন সময়ের অনেক স্যারকে তাঁর সহকর্মী হিসাবে পান এবং অত্যন্ত আন্তুরিকতার সহিত পাঠদান কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন।  শিক্ষকের সার্বিক সহযোগিতায় অল্প কিছুদিনের মধ্যে যশ এবং সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হন আব্দুল খালেক।

শিক্ষকের ছাত্ররা : শিক্ষার আলোই হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী আলো। স্যার যে শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছিলেন তা আজ এই আলো ছড়াচ্ছে তারই ছাত্ররা। আব্দুল খালেক স্যারের শিক্ষকতা জীবনের ১ম ব্যাচের একজন ছাত্র ডা. দেওয়ান সৈয়দ আব্দুল মজিদ বর্তমানে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিশে^র বিভিন্ন দেশের মেডিকেল কলেজে গবেষণার কাজে গিয়ে থাকেন। তাঁর প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে ২ জন সচিব, অসংখ্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ।

স্মৃতিচারণ : শিক্ষকতা জীবনের শুরুতেই ১৯৬৯ সালের নভেম্বর চট্টগ্রামে সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন তিনি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাদের বিদ্যালয়ে পাক বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। কিন্তু মনে প্রাণে মুক্তি বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধ ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাক বাহিনীর বর্বরতার কথা মনে হলে গা শিহরিয়া উঠে আব্দুল খালেকের। স্কুল সংলগ্ন খোয়াই নদীর ভাঙ্গা ব্রীজে অসংখ্য পাক বাহিনীর বর্বর হত্যা লোকমুখে শুনে গা শিহরিয়া উঠে।

জন্মস্থান ত্যাগ : শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আব্দুল খালেকের জন্মভূমির সেই বসতভিটা নেই। গ্রামে গেলে আব্দুল খালেকের স্মৃতি মনে করিয়ে দিবে। মনে হবে এইতো এখানেইতো জন্মভিটা। খোয়াই নদীর বাঁধের জন্য ১৯৭৯ সালে জন্ম স্থান ত্যাগ করেন তিনি। তারপর রাজেন্দ্রপুর নামে সাটিয়াজুরীতে একটি বাড়ি ক্রয় করেন।  সে গ্রাম থেকে একটি মোটর বাইকযোগে বিদ্যালয়ে যাতায়াত শুরু করেন তিনি। ১৯৮০-৮১ সালে কুমিল্লা টি. টি কলেজ থেকে বি.এড পাশ করে নিজেকে শিক্ষকতার কাজে আত্মনিয়োগ রেন। ১৯৯০ সালে আব্দুল খালেকের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুন নূর চৌধুরী অবসর গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আব্দুল খালেক। ২০১০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। আব্দুল খালেকের দায়িত্বকাল শেষ হওয়ার পর আরও ২ বৎসরের জন্য কমিটি মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়। পরে ২০১২ সালের ৬ জানুয়ারি এই গুণী শিক্ষক অবসরে চলে যান।

পারিবারিক : সংসার জীবনে ৪ সন্তানের জনক তিনি। বড় মেয়ে জাহানারা আক্তার সিলেট এমসি কলেজ থেকে বোটানীতে মাস্টার্স। সেও শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। ২য় ছেলে মো. শফিউল আলম এমসি কলেজ থেকে গণিতে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ে ৫২তম স্থান অধিকার করে প্রথম স্থান করে। ৩য় ছেলে মাহবুবুল আলম একই কলেজ থেকে রসায়নে অনার্স ডিগ্রি এবং ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করে। ৪র্থ ছেলে মো. হাবিবুল আলম ঢাকা নটারডম কলেজ থেকে ইন্টার এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও জনসংযোগ বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে।

গুনী এই শিক্ষক ২০২২ সালে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করা হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কৃতি সন্তান জনাব টি, আলী স্যারের নামে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারেটি সংস্থা টি,আলী স্যার ফাউন্ডেশনের জরিপে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার আদর্শ শিক্ষকের সম্মাননার স্বীকৃতি হিসেবে টি, আলী স্যার পদকে ভুষিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলার ৯ উপজেলার ১৮ জন আদর্শ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে পদক দেয়ার পাশাপাশি তাদের জীবনী ধারাবাহিকভাবে লিখছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি টি, আলী স্যারের পুত্র বৃটেনের জনপ্রিয় চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সল আহমদ (রুহেল)। পদকপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ৫ জন শিক্ষককে আর্থিক সহযোগিতাও দেবে সংস্থাটি।

প্রতিনিয়ত জীবনের নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে কঠিন জীবনসংগ্রামের মধ্যদিয়ে লেখাপড়া চালিয়েছিলেন আব্দুল খালেক স্যার। সারা জীবন ছাত্র পড়িয়েছেন। আমাদের সমাজে সফল ও যোগ্য পিতা-মাতা হওয়া বড়ই কঠিন। সন্তান মানুষ করা আরও কঠিন। কিন্তু এই শিক্ষক নিজ সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন। আব্দুল খালেকের ছাত্ররা পেয়েছিলেন আদর্শ শিক্ষক। একজন আদর্শ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহিমা তৈরি ও একজন আদর্শ মানুষ হতে অনুপ্রাণিত করেন। আর শ্রদ্ধেয় আব্দুল খালেক স্যার ওই রকমই একজন
আদর্শ শিক্ষক । গুণী এই শিক্ষকের প্রতি রইল গভীর ভালবাসা ও শ্রদ্ধা, আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করছি ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ