শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ:
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয় ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে। সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স নামে এক যুবকের স্মরণে স্বল্প পরিসরে শুরু হওয়া এই উৎসব ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে প্রেম ও ভালোবাসার দিন হিসেবে।
ভালোবাসা দিবস উদযাপন করা নিয়ে বিতর্ক কম নয়। বিশেষ করে কট্টরপন্থী মুসলিম দেশগুলোতে এই দিবসকে বিজাতীয় সংস্কৃতি বলে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। কিন্তু তারপরও বিশ্বজুড়ে তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে এই দিবস নিয়ে আগ্রহের কোনো কমতি নেই। বিশেষ করে প্রেমিকযুগলদের মধ্যে এই দিবস ঘিরে কাজ করে বাড়তি উন্মাদনা। বিশ্বায়নের এই যুগে প্রেম ও ভালোবাসার এই উৎসবেরও বাণিজ্যিকীকরণের ছোঁয়া লাগায় প্রিয়জনের হাতে ফুল আর উপহার তুলে দেন অনেকেই।
প্রেমের ঋতু বসন্তের শুরুতেই ভালোবাসা দিবস হওয়ায় বাঙালিদের মধ্যে এই দিবসের আবেদন একটু বেশিই। বসন্তের মাতাল সমীরণে প্রেমিক যুগল থেকে শুরু করে সবার অকারণের সুখে অলক্ষ্য রঙ মাখিয়ে যায় এই দিনটি।
বসন্তের শুরুতে ভালোবাসার বিশেষ এই দিনটিকে একটি গণ্ডিতে আটকে না রেখে শুধু প্রেমিক যুগলই নন ছোট-বড় সবাই বাসন্তী, লাল, সবুজ কিংবা হলুদ রঙের বসনে নিজেদের রাঙিয়ে মেতে উঠতে পারেন ভালোবাসার উৎসবে।
ভালোবাসার এই দিনে বসন্তের আগমনী বার্তায় ছড়িয়ে যাক দিকে দিকে। ধর্ম-বর্ণ, ধনী-গরিব, ছোট-বড় সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বসন্তের এই দিনে গাইতে পারেন মানবতার জয়গান :
‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে
কোরো না বিড়ম্বিত তারে।
আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,
আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো,
এই সংগীত-মুখরিত গগনে
তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিয়ো।
এই বাহির ভুবনে দিশা হারায়ে
দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে।’