রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, মিশিগান (যুক্তরাষ্ট্র)থেকে: যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের সর্বত্র ভারী তুষারপাতে জনজীবন থমকে গেছে. এই তুষারপাত এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, একটানা গত কয়েকদিন বিরামহীনভাবে চলা এই তুষারে হেমট্রামিক, ডেট্রয়েট, ওয়ারেন সহ নানা সিটির অন্তর্ভুক্ত রাস্তাঘাট, অলিগলি, বাসাবাড়ি প্রায় ৫/৬ এমনকি কোথাও কোথাও ৭/৮ ইঞ্চি পর্যন্ত স্তরে ঢেকে গেছে. রাস্তাঘাটে প্রাইভেট গাড়ি চলাচল কমে গেছে.জনশূন্য হয়ে পড়েছে এসব এলাকা. নেহায়েত জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে কেউ বের হচ্ছেন না. সংশ্লিষ্ট সিটির মিউনিসিপ্যালিটির পক্ষ থেকে প্রধান ও অলিগলি আর বাসা বাড়ির সম্মুখ থেকে জমে থাকা তুষার খানিকটা সরিয়ে নাগরিক ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে দিলেও কিছুক্ষনের মধ্যে এসব স্থান তুষারে আবারো ভরে যাচ্ছে.সেই সাথে হাত পা ও শরীর কেটে পড়ে যায় এমন ঠান্ডা জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে. নিজেকে রক্ষায় মানুষ একাধিক গরম কাপড় লাগিয়েও অসহনীয় ঠান্ডা ও হিঁম বাতাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারছেন না. এখানকার বিভিন্ন কারখানা, গ্রোসারি সহ নানান ধরণের প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবী মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে. কারণ দুর্ঘটনার আশংকায় ভারী তুষারপাতে ঢেকে থাকা হাইওয়েতে সড়কপথে গাড়ি চালিয়ে অনেকেই নিজ নিজ কর্মস্থলে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন. এমতাবস্থায় অনেকেরই দুশ্চিন্তা যে, এভাবে কর্মস্থলে যেতে না পারে ঘন্টা প্রতি দৈনন্দিন পারিশ্রমিক অর্থ থেকে তারা বঞ্চিত যেমন হবেন, তেমনি তারা সাংসারিক খরচ চালাতেও চরমভাবে হিমশিম খাবেন. বিশেষ করে বাংলাদেশী শ্রমিকরাই এই তুষারপাতের কারণে বেশি বেকাদায় পড়েছেন.কারণ মাস শেষে অনেকেই বাড়ি ভাড়া বিদ্ধুত,গ্যাস ও পানির বিল পরিশোধ করতে হয়. শুধু তাই নয়,বাংলাদেশিদের অনেকেই যেমন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এসে কর্মস্থলে যাওয়া শুরু করেছেন,আবার নতুন পুরাতন বাংলাদেশী শ্রমিকদের অনেকেরই ব্যক্তিগত গাড়ি না থেকে ব্যক্তি মালিকানাধীন রাইড ও উভার ভাড়া করে যেতে হয় কর্মস্থলে.এতে করে নিজেদেরকে পকেট থেকে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়. এটা বাড়তি চাপ হিসেবেই বাংলাদেশিরা মনে করছেন. এখানকার সিটি কতৃপক্ষ ও সাধারণ নাগরিকদের ধারণা এভাবে তুষারপাত পড়া অব্যাহত বা পরিমানের দিক থেকে বাড়তে থাকলে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে মিশিগানবাসীকে