শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: হবিগঞ্জের লাখাইয়ে হাওরে নৌকাভ্রমণে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় রাঙামাটি থেকে আরো ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি।
তিনি বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার নানিয়ারচর থানার ইসলামপুর বউবাজার এলাকার পাহাড়ি এলাকা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন লাখাই উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া, বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া এবং নিজাম মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। তাদেরকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়া পুরো ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিন আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি এখনও পলাতক। এরই মধ্যে গ্রেফতারকৃত মিঠু মিয়া আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২৫ আগস্ট দুপুরে নব দম্পতি তাদের এক বন্ধুকে নিয়ে টিক্কাপুড়া হাওরে নৌকাভ্রমণে যায়। সেখানে আরেকটি নৌকা নিয়ে ৮ জন যুবক তাদের নৌকায় হানা দেয়। দুই বন্ধুকে মারধর করে নববধূকে তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাদের নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে তারা। নগ্ন ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ৯ লাখ টাকা দাবি করে তারা। টাকা না পাওয়ায় ভিডিওটি এলাকার কয়েকজনের কাছে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার নববধূর স্বামী আটজনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা রেকর্ড করতে লাখাই থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়।
মামলার আসামিরা হলেন, মোড়াকড়ি গ্রামের মুছা মিয়া, মিঠু মিয়া, হৃদয় মিয়া, সুজাত মিয়া, জুয়েল মিয়া, সোলায়মান রনি, মুছা মিয়া ও শুভ মিয়া।
ওই দিনই মিঠু মিয়া, সোলায়মান রনি ও শুভ মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার শিমুল, লাখাই থানার ওসি সাইদুল ইসলাম, ওসি তদন্ত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সুমনসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।