• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

ইতিবাচক চিন্তা ও তারপর!

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১

মোঃ দেলোয়ার ফারুক তালুকদার(শাহজাহান):  সততা, আস্হা, দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক শব্দের কাছাকাছি শব্দ। ইতিবাচক হল যে কোনো জিনিসের ভাল দিক নিয়ে অথবা হ্যা বাচক অবস্থান নিয়ে চিন্তা করা বা কাজ করা। ইতিবাচক চিন্তা করা বা মানসিকতা তৈরি করা বা রাখা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার বা কাজ। কোন কাজ করার আগে বা ঘটনা ঘটার আগে উক্ত কাজ বা ঘটনা নিয়ে শুধুমাত্র মন্দ দিক নিয়া চিন্তা না করে ভাল দিক নিয়া চিন্তা করাই ইতিবাচক চিন্তা। মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব খুব বেশি।

এ জিনিসটা যেমন ছোটকাল থেকেই থাকে, থাকে শয়তানের প্ররোচনা, বাস্তব ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষের বা অবস্তার কারণে ইতিবাচক চিন্তার প্রসার না হয়ে নেতিবাচক টিই বেশি হয়।

এর ফলে শুধুমাত্র দুনিয়ায় ক্ষতি হয় তা কিন্তু নয় পরকালের বিষয়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কারণ এর ফলে ভাল কাজ করা খুবই কঠিন হয়ে যায়।

তবে ইতিবাচক চিন্তা মনের মধ্যে জোর করে আনতে হয়।তার জন্য চেষ্টা, সাধনা করতে হয়। এর উপায় জানতে হয়। সতত চিন্তার প্রাথমিক ধাপ হল কোন কিছু ঘটার সাথে সাথেই মন্তব্য বা বলা বা চিন্তা শুরু না করা। এমনকি কারও সম্মন্ধে কিছু না বলা বা করা। আপনি এভাবেই কয়েক মুহূর্ত কাটান দেখবেন আপনার মনে সতত চিন্তার প্রসার ঘটছে।

সাধারণ মানুষের অসাধারণ চলা বলে একটা বিষয় আছে, যা সম্মন্ধে আমরা খুব অবগত নই। যেমন জীবনে চলার পথে বাঁধা, বিপত্তি, দূর্যোগ, দুর্ভাবনা, দূর্ভাগ্যবশতী ইত্যাদি থাকবেই। এগুলোর ফলে নেতিবাচক চিন্তা ও কাজ করতে মন চাইবেই। আর এতে ডুবে গেলে নিশ্চিত পরাজয়।

তাই শত বাঁধা বিপত্তির মধ্যে নেতিবাচক চিন্তা ঝেড়ে ফেলে ইতিবাচক চিন্তায় মনোনিবেশ করতে হবে। এবং এভাবে চালিয়ে গেলে আপনি নিশ্চয়ই সফলতার দিকে এগিয়ে যাবেন।

এটা সতত সত্য যে এর বিকল্প আর কোন পথ নেই। বিভিন্ন ভাল বই পড়তে হয়। বিভিন্ন ভাল মানুষের সংস্পর্শে থাকতে হয়। ইতিবাচক চিন্তার ফলে প্রথমত  আপনার স্নায়ু খুবই শীতল ও সরল আচরণ করবে যার ফলে আপনি শীতল থাকবেন এবং ভাল কাজ করতে পারবেন এতে আপনি অবশ্যই ভালো ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।

যেমন ধরুন কোন দূরবর্তী স্হানে আপনার কোন আত্মীয় দূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। এবং আপনি তার ওখানে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়েছেন, যেতে হয়ত কয়েকঘন্টা সময় লাগবে।

এসময় আপনার মনে কত বাজে চিন্তা আসতে পারে, কিন্তু আপনার কি কিছু করার ক্ষমতা আছে। নিশ্চয়ই নেই। এসময়টুকু আপনার মনে অনেক কুচিন্তা এসে জড়ো হবে, যেমন কেমনে দূর্ঘটনা ঘটল, কে হাসপাতালে ভর্তি করবে, কত বড় ব্যাথা পেল, এখন কেমন অবস্থা, কে চিকিৎসা করবে,কোন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ইত্যাদি নানা বিষয়ে নেতিবাচক চিন্তা মাথায় কাজ করবে।

বাস্তবতা হল এ বিষয় গুলোতে আপনি কি কিছু করতে পারবেন ঐ জায়গায় না পৌঁছা পর্যন্ত। আর তাকে হয়ত ইতিমধ্যেই কেউ না কেউ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে এবং তার চিকিৎসাও চলছে।

এর মধ্যে আপনি অনেক খারাপ ধারণা বা নেতিবাচক চিন্তা করলেন তাতে তার ত কোন উপকার ই হলো না। উপরন্তু আপনার প্রেশার বাড়ালেন এবং শয়তানের সংগী হয়ে রইলেন। কিন্তু এ সময়টুকুতে আপনি ইতিবাচক চিন্তা করে তার জন্য দোয়া করতে পারতেন। এতে তারও লাভ হত এবং আপনার ও হত। এবং আপনার প্রেশার বাড়ত না। আপনি ঠান্ডা মাথায় যেতে পারতেন।

আপনি যদি কষ্ট করে মনের উপর জোড় খাঁটিয়ে একবার ইতিবাচক চিন্তার দিকে আপনার মন কে প্রসারিত করতে পারেন আপনি নিশ্চিত রুপে সফলতার দিকে আগাতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। অবশ্যই এর জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা জানতে হবে।সাফল্য অর্জনের জন্য ইতিবাচক চিন্তা একটি মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
আপনি একটি সপ্তাহ চেষ্টা করে দেখুন। এভাবেই ইতিবাচক চিন্তা সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে।

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ