করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

পুলিশসহ আটক তিনজনকে কারাগারে প্রেরণ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাহুবলে ব্যবসায়ীকে আটক করে টাকা লুটের ঘটনায় আটককৃত পুলিশসহ তিনজনকে করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

বুধবার (২০ এপ্রিল) বাহুবলে রোড ডাকাতির ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য গ্রেফতারের পর থেকে জনমনে এ প্রশ্নটি উঠেছে। এ নিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

 

 

পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার কমাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ড্রাইভার কনস্টেবল পুলক চক্রবর্তী (৩০), কামাইছড়া বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্টার মনিরুজ্জামান শিমুল (৩৫) ও ফাঁড়ি সংলগ্ন দোকানের ব্যবসায়ী আক্রম আলী (৩০) কে গ্রেফতার করেছে।

 

বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের পুলিশ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদের করাগারে প্রেরণ করে।

 
পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে শ্রীমঙ্গল-হবিগঞ্জ রোডস্থ লাকসাম স্টোরের সত্তাধিকারী শ্রীমঙ্গল শহরের শান্তিবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (৩০) বাহুবল থেকে কয়েক কার্টুন সিগারেট নিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে ফিরছিলেন।

 

ব্যবসায়ী রবিউলকে বহনকারী অটোরিকশাটি মিরপুর-শ্রীমঙ্গল রোডের কামাইছড়া পাহাড়ে রাবার বাগানের নিকট পৌঁছামাত্র পুলিশের লোক পরিচয়ে একটি মোটর সাইকেল ও একটি অটোরিকশা দ্বারা ব্যারিকেড দিয়ে তাকে জিম্মী করে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নগদ ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

 

এমনকি প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে ও শারীরিক নির্যাতন করে বিকাশের মাধ্যমে আরও ৩০ হাজার টাকা এনে ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি ব্যবসায়ী রবিউল শ্রীমঙ্গল থানার ওসিকে অবহিত করে মামলা দায়ের করতে যান। তবে ঘটনাস্থল শ্রীমঙ্গলের বাইরে হওয়ায় রবিউলকে বাহুবল থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন শ্রীমঙ্গল থানার ওসি।

 

 

এরপর রবিউল বেলা ৩টার দিকে বাহুবল থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করেন। এর কিছুক্ষণ পর কামাইছড়া ফাঁড়ি পুলিশের পিকআপ চালক পূলক চক্রবর্তীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

 

 

তার দেয়া তথ্যমতে বুধবার সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পূলক চক্রবর্তীর সহযোগি কমাইছড়া চা বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্টার মনিরুজ্জামান শিমুল ও ফাঁড়ি সংলগ্ন দোকানের ব্যবসায়ী আকরাম আলী এবং বিকাশ এজেন্ট প্রদিপ দেবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

 

 

রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রদীপ দেবকে ছেড়ে দেয়া হলেও পূলক চক্রবর্তী, মনিরুজ্জামান শিমুল ও আকরাম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত ৩জন সহ ৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, বাহুবল মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জিয়া জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। জুনাব আলী নামে এজাহারভূক্ত এক আসামী পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, ঘটনার পরপরই কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাছির আলমসহ সকল কনস্টেবলকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ