• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

হবিগঞ্জে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন-ফি সবই নেয়া হচ্ছে

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০২১

করাঙ্গীনিউজ: এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকলেও শিক্ষার্থীদের পরিশোধ করতে হচ্ছে সকল ফি।

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অভিভাবকদের চাপ দিয়ে ফি আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত নভেম্বরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিতে পারবে। কিন্তু টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ এবং অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত কোনো ফি নেয়া যাবে না।

এছাড়াও যেসব অভিভাবকদের করোনাকালে অবস্থা শোচনীয় তাদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিতে দেখার কথা বলা হয়।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি একাধিকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতনের বিষয়টি সমন্বয়ের কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে এর প্রভাব খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি।

আবার অভিভাবকদের মাঝেও দেখা গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন না দেয়ার প্রবণতা।

অভিযোগ আছে, হবিগঞ্জের সব কয়টি স্কুলে সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রিএডমিশন ফি নেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিমাসে নেয়া হচ্ছে পূর্বের ন্যায় মাসিক বেতন। সরকারি নির্দেশনায় বলা হলেও নেয়া হচ্ছে সকল ধরনের ফি।

এসবের বাইরে ২০২১ সালের এসএসসি’র ফরম পূরণে রাখা হচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ অর্থ। অধিক অর্থ আদায় করা যাবে না এমন নির্দেশনা দেয়ার পরেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মানবিকতার পরিচয়ও দিয়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।
মিরপুর ফয়জুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় অনেকের বকেয়া বেতন মওকুফ করে দিয়েছেন। বেতন কম রেখেছেন অনেকেরই।

এদিকে বাহুবলের দি হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এই করোনায় ২৫টি পরিবারের ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পড়াচ্ছে। অর্ধেক বেতনে পড়ছে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। তাছাড়া এই করোনায় যে অভিভাবকরা চাকুরী হারিয়েছেন, কাজ হারিয়েছেন তাদের সন্তানদেরকেও দিয়েছে বিনাফিতে পড়ার সুযোগ।

অভিভাবক ওসমাস গণি বলেন, আমরা অভিভাবকরা আসলে অসহায়। আমরা বলেছিলাম, যেহেতু শিক্ষার্থীরা সরাসরি শিক্ষা নিতে পারছে না সেহেতু ৫০ শতাংশ কমানো হোক। একাধিকবার দাবি জানানোর পরে তারা সিদ্ধান্ত নিলেন শুধুমাত্র আনুষঙ্গিক অর্থ বন্ধ নেয়া হবে না। কিন্তু সেটাও মানা হচ্ছে না স্কুলগুলোতে। আমরা অভিভাবকরা নির্যাতিত। এর কারণ হচ্ছে মাউশি থেকে কোনো মনিটরিং করা হয় না। নেই কোনো জবাবদিহি। তারা নির্দেশনা দিলেন তাদের বেঁধে দেয়া অর্থ আদায় করতে হবে। নির্দেশনা দিয়েও কোনো স্কুল তা মানে না। তাহলে এই নির্দেশনার প্রয়োজন কি?

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ