করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১

ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র রমজানের শেষ শুক্রবার তথা রমজানের শেষ জুমাকে বলা হয় জুমাতুল বিদা।

জুমাতুল বিদা রোজাদারকে স্মরণ করিয়ে দেয়, রমজানের শেষলগ্নে এর চেয়ে ভালো কোনো দিন আর পাওয়া যাবে না। সুতরাং এ পুণ্যময় দিনটির যথাযথ সদ্ব্যবহার করা উচিত।

দেখতে দেখতে ফুরিয়ে এলো রমজান মাসের পবিত্র দিনগুলো। আজ রমজান মাসের শেষ শুক্রবার তথা পবিত্র জুমাতুল বিদা। মুসলিম উম্মাহর কাছে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার একটি পবিত্র দিন।

রমজানকে বিদায় জানাতে এ দিনে মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরাও মনে করে থাকেন রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানের মহিমা জুমাতুল বিদার মধ্য দিয়ে আরো বেশি মহিমান্বিত হয়। দিনটি মুসলিম বিশ্বের কাছে জুমাতুল বিদা নামে পরিচিত। তবে এ দিনটি আল-কুদস দিবস হিসেবেও পালিত হয়।

রমজানের শেষ জুমা হিসেবে মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটির বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। জুমার দিনের স্বতন্ত্র ফজিলত অনেক বেশি। শুক্রবারকে মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

রমজানের প্রতিটি জুমা ফজিলত ও তাৎপর্যের দিক থেকে অনন্য। বিদায়ী জুমা হিসেবে জুমাতুল বিদার মর্যাদা ও ফজিলত আরো বেশি। পবিত্র কোরআনে জুমার নামাজ আদায়ের তাগিদ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা উপলব্ধি কর।’ (সূরা: আল জুমুআহ, আয়াত: ৯)

প্রত্যেক মুসলমানের ওপর জুমার নামাজ ফরজ। জুমার দিন ও রাত উভয়টিই ফজিলতপূর্ণ। জুমার দিন এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যখন দোয়া করলে সরাসরি তা কবুল হয়। ধারণা করা হয়, সে মুহূর্তটি আসর থেকে মাগরিবের মাঝামাঝি কোনো সময়। এছাড়া দুই খুতবার মাঝামাঝি সময়টিও দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত বলে হাদিসে উল্লেখ আছে।

জুমার দিন মুমিন মুসলমানদের ঈমানি সম্মেলন হয়। এ দিনের তাৎপর্য বর্ণনা করে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমাবার সর্বাধিক মর্যাদাবান ও নেতৃস্থানীয় দিন। এ পুণ্য দিনে আদি পিতা হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়। একই দিনে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন। আবার পুনরায় পৃথিবীতে আগমন করেন। এ দিনে তার ইন্তেকাল হয়। এ শুক্রবারেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। এ পুণ্য দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যখন আল্লাহর দরবারে দোয়া কবুল হয়।’ (মিশকাত)

রমজান মাসের শেষ শুক্রবার হজরত সুলায়মান (আ.) জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং মুসলমানদের প্রথম কিবলা ‘মসজিদ আল-আকসা’ প্রতিষ্ঠা করেন বলে ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়। এ জন্য প্রতি বছর সারাবিশ্বের মুসলমানরা রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ‘আল কুদস’ দিবস হিসেবে উদযাপন করেন। বায়তুল মোকাদ্দাস ইহুদিদের অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করার দাবি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ