• Youtube
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৯ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির পর মিসরের বিভীষিকাময় ৬ বছর

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯

করাঙ্গীনিউজ ডেস্ক: ছয় বছর আগে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদেল আল-সিসি। তাহরির স্কয়ারের সামনে এক বছর ধরে চলতে থাকা বিক্ষোভের শেষ পরিণতি হলো মিসরীয় গণতন্ত্রকে বিলুপ্তি।

বিপ্লবীদের মনে চরম বেদনা নিয়ে আরব বসন্তের চলতি বছরের এই বার্ষিকী এসেছে। কারণ আদালতে মামলার শুনানির সময় হঠাৎ পড়ে গিয়ে তাদের প্রিয় নেতা মোহাম্মদ মুরসির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হয়েছে।

তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা হোসনি মোবারক ১৮ দিন অপ্রতিরোধ্য প্রতিবাদের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেন।

২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোহাম্মদ মুরসি প্রথম মিসরীয় নির্বাচিত গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট।

২০১৩ সালে সেনাবাহিনীর অভুত্থ্যানে ক্ষমতাচ্যুত হন মোহাম্মদ মুরসি।

যাইহোক, মুরসি জনগণকে তাদের ক্ষমতা ছিনতাই করার আশংকা ও আগামী ধ্বংসাত্মক ভবিষ্যত সম্পর্কে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন।

ক্ষমতার এক বছর পর তৎকালীন সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদেল আল-সিসি সেনা অভ্যুত্থানরে মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে।

২০১৩ সালের ৩০ জুন ১০ হাজারের বেশি মানুষ মুরসি বিরোধী বিক্ষোভে জড়ো হয় তখন গণমাধ্যম তা সম্প্রচার করে। এদিকে মুরসির সমর্থকরা রাজপথে নেমে আসেন।

তিনদিন পরে সিসির নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুরসিকে কারাবন্দি করে। ওই বছরেই আল-সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।

মুরসির অনুসারীরা ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার পর মিসরীয় কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক কঠোর পরিস্থিতি তৈরি করে। মুরসির সমর্থক শত শত নেতাকর্মীদের হত্যা ও হাজার হাজার সমর্থককে জেলে আটক করে। এছাড়া তার দল ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কয়েকডজন যুবককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভ্যুত্থানের সময় গোলোযোগ সৃষ্টির অভিযোগ এনে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। যা ছিল মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

প্রেসিডেন্ট মুরসির বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনে সিসি সরকার। এর মধ্যে রয়েছে কারা আইন ভঙ্গ, হত্যা, কাতারের সঙ্গে গুপ্তচরভিত্তি, হামাস ও হিজবুল্লাহ সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া বিচার বিভাগকে অপমান ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ করা হয়।

কারাগারে মুরসির স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি নিয়ে তার পরিবার স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছে অভিযোগ করেছিল। এদিকে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ মুরসির বিষয়ে সবধরণের আপিল বর্জন করেছে।

সাবেক প্রেসিডেন্টর আইনজীবী আবদেল মোনেম আবদেল মাকসুদ বলেন, ১৭ জুন আদালতে উপস্থিত অবস্থায় বিনাচিকিৎসায় ও মেডিকেল অবহেলায় মুরসির শহীদি মৃত্যু হয়।

অনেক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, মিসরীয়ানদের বিপ্লবের প্রতীক মোহাম্মদ মুরসি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, মুরসির মৃত্যু শহীদি মৃত্যু।

পাকিস্তানি মানবাধিকার মন্ত্রী শিরীন মাজারি বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্যই মুরসি শহীদ হয়েছেন।

আলজেরিয়ায় বৃহৎ ইসলামী দলের নেতা আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, মুরসি আইনগত মিসরীয় প্রেসিডেন্ট।

তিউনেশিয়াও মুরসির মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করেছে। জাতিসংঘে লিবিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আল আমারি বলেছেন, মুরসি শহীদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ